নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৮ সেপ্টেম্বর) :: পেকুয়ায় পুকুরের বাঁধ কেটে মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল দু’প্রতিবেশীর মধ্যে। এর সুত্র ধরে গভীর রাতে প্রতিপক্ষের বসতভিটায় হানা দেয়।
এ সময় পৃথক মালিকানার দুটি পুকুরের মধ্যবর্তী পাড় কেটে দেওয়া হয়। এতে করে একপক্ষের বিপুল পরিমাণ মাছ অপর পক্ষের পুকুরে গিয়ে মিশেছে। ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা দেখা দেয়।
১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বুধামাঝিরঘোনা গ্রামে মাছ লুটের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই গ্রামে আক্তারুজ্জামান গং ও শহিদুল মোস্তফা গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে দু’পক্ষেরর মধ্যে বিরোধ সম্প্রতি আরও প্রকট হয়েছে। এর সুত্র ধরে ঘটনার দিন রাতে শহিদুল মোস্তফার মালিকানাধীন পুকুরের পাড় কেটে ফেলা হয়েছে।
আক্তারুজ্জামান গং ও শহিদুল মোস্তফা গংদের পাশাপাশি স্থানে দুটি পুকুরের অবস্থান। মাঝখানে পাড় তৈরী করে এ দুটি পুকুরকে পৃথক করা হয়েছে। এক সময় যৌথ পরিবারে একটি পুকুর ছিল। ওই পুকুরে নাজিম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল মোস্তফা বানিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য চাষ করছিলেন। কয়েক বছর আগে থেকে ৪০ শতক আয়তনের এ পুকুরে মাছ চাষ চলছিল।
শহিদুল মোস্তফা জানায়, ওই দিন রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আক্তারুজ্জামান গং আমার পুকুরের পাড় কেটে দিয়েছে। এর আগে এ তাদের মালিকানাধীন পুকুরটি সেচযন্ত্রের সাহায্যে শুকিয়ে ফেলে।
৮/১০ জনের দুবৃর্ত্তরা আমার পুকুর থেকে মাছ লুট করতে এ অভিনব কায়দায় লিপ্ত হয়। আমি পোশাক শিল্পে কাজ করি। চট্রগ্রাম শহরে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে এসেছি। আমার বাবা নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এক সময় বারবাকিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ছিলেন। উপজেলা আ’লীগেরও নীতি নির্ধারক ছিলেন। আমি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলাম। বারা মারা গেছেন। এরপর থেকে শত্রুতা ও হয়রানি মাত্রা আমাদের উপর বেড়ে গেছে।
নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী সাবেকুন্নাহার জানায়, রাতে এসে পুকুরের পাড় কেটে দিয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে আমি ও আমার ছেলেদের অত্যাচারসহ হয়রানি করছিল।
Posted ১:২৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta