নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৬ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় পৃথক হামলায় স্কুলছাত্রীসহ ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের টেকপাড়া ও মগনামা ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া এলাকায় ঘটনা দুটি ঘটে।
জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সাবেকগুলদি টেকপাড়া এলাকার ছরওয়ার উদ্দিনের মেয়ে ও বারবাকিয়া আদর্শ স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী সেতারা বেগম(১৮) দুর্ত্তের নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
২৫ নভেম্বর সকালে এ ঘটনা ঘটে। সুত্র জানায়, গভীর রাতে ওই এলাকার আশরাফ আলীর পুত্র রবি আলম প্রেমের সুত্র ধরে একই এলাকার ছরওয়ার উদ্দিনের মেয়ে সেতারা বেগমের বাড়িতে আসে।
এ সময় আশরাফ আলীর ছেলে রবি আলমকে মেয়ের বাড়িতে আটকিয়ে রাখা হয়। ওই দিন সকালে খবর পেয়ে ছেলে পক্ষের ৬/৭ জন ভাড়াটে লোকজন অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে মেয়ের বাড়িতে হানা দেয়।
এ সময় দুবৃর্ত্তরা মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এমনকি মেয়েকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে গুরুতর আহত করে। তাছাড়া তারা ছরওয়ার উদ্দিনের বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।
আহত সেতারা বেগমের পিতা ছরওয়ার উদ্দিন জানায়, তারা আমার বাড়িতে ডাকাতি করে। আমার মেয়ে এখন ২ মাসের অন্ত:স্বত্তা। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার ইসমাইল জানায়, আমি ঘটনার কথা শুনেছি। ছেলের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দায়ের করছিল। বিচারে মেয়েপক্ষ হাজির হয় নাই।
অপরদিকে মগনামা ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া এলাকার নুরুল হোসাইনের স্ত্রী মনিফা আক্তার (২৩) গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
২৬ নভেম্বর বিকাল ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আশরাফ আলীর ছেলে রোবেল গং ও নুরুল হোসাইনের স্ত্রী মনিফা আক্তারের সাথে প্রায় বাকবিতন্ডা হয়। ওই সময়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আশরাফ আলীর ছেলে রুবেল, জেসমিন আক্তার, রুজিনা আক্তার গং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও হাতে জখম করে।
আহত মনিফা আক্তার জানায়, তার স্বামী বাড়িতে না থাকায় প্রতিপক্ষরা তাকে প্রায় সময় নির্যাতন করত। তারা তার বাড়িতে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
Posted ৭:৫৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta