নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৮ অক্টোবর) :: পেকুয়ায় এবার বাল্য বিয়ে থেকে বাঁচতে বাড়ি ছাড়ল এক মাদ্রাসা ছাত্রী। অপরিনত বয়সে এ শিক্ষার্থীকে অসম বিয়ের পিঁড়িতে বসাতে বাধ্য করছিল পিতা-মাতা। তাকে এক প্রকার বাধ্য করছে বাল্য বিয়ের পিড়িতে বসাতে। এ সময় নিজের ভবিষ্যত ও অন্ধকার জীবন থেকে পরিত্রান পেতে ওই ছাত্রী পিতার বাড়ি ছাড়তে সিদ্ধান্ত নেয়।
এর প্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী এবার বাল্য বিয়ের কুফল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নিজের ঘর ছেড়ে সটকে পড়ল। পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রীর নাম সানজিদা বেগম(১৬)। তিনি ওই গ্রামের শফি আলমের মেয়ে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সানজিদা বেগম পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। মেধাবী ওই ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে বসাতে তার পিতা-মাতা অনেকটা বাধ্য করছিলেন।
সানজিদা জানায়, এক ছেলের সাথে আমার বিবাহ কার্য চুড়ান্ত করে। তবে আমি অপরিনত বয়সে বিয়ের পক্ষপাতিত্ব নই। আমি চাই জীবনে প্রতিষ্টিত হয়ে পরিনত বয়সে দাম্পত্য জীবন শুরু করব। শিক্ষার প্রদীপ জে¦লে আমি ভবিষ্যত জীবনকে প্রসারিত ও প্রস্ফুটিত করব।
পিতা-মাতা আমাকে বিয়ের দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করছিল। আমি অনেক কাকুতি মিনতি করছি। কিন্তু তারা এ সব মানতে নারাজ। আমাকে বাধ্য করছে বাল্য বিয়ের পিঁড়িতে বসাতে। বাধ্য হয়ে নিজের জীবনকে অন্ধকার থেকে বাঁচাতে পিতার বাড়ি থেকে সটকে পড়েছি।
Posted ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta