নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৯ আগস্ট) :: পেকুয়ায় শওকত আলী ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। আধিপত্য ও জবর দখল প্রতিষ্টা নিয়ে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারন করেছে।
উভয়পক্ষের মধ্যে গত ৭ দিনের ব্যবধানে একাধিকবার উত্তেজনা দেখা দেয়। পেকুয়া থানা পুলিশ একাধিকবার ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন।
ওয়াকফ জমির স্থিতি ও দখল হস্তান্তর নিয়ে এখনো বিষয়টি অনিসম্পত্তি থেকে যায়। উত্তেজনা হ্রাস করতে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে থানায়। তবে ওয়াকফর কার্যকারক ও সম্পত্তির দেখভাল বিষয়টি অমীমাংসিত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দীরপাড়া গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ দিকে সৃষ্ট পরিস্থিতির জের ধরে পেকুয়া থানায় অভিযোগ ও আদালতে সিআর মামলা রেকর্ড হয়েছে।
অপর একটি সুত্র জানায়, সিআর মামলায় কিছু ঘটনা বহির্ভূত লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। ওয়াকফর জমি ও কার্যকারকের সাথে সম্পর্ক নেই এমন লোকজনকে কাল্পনিক ঘটনায় অভিযুক্ত করে আসামীর তালিকায় অন্তুর্ভূক্ত করা হয়েছে। মামলা ও হয়রানির ভয়ে এ সব নিরাপরাধ মানুষের জীবন মান অচল প্রায়।
সুত্র জানায়, গত ২৭ আগস্ট মৃত আবদুল জলিলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
স্থানীয়রা জানায়, ওই ব্যক্তি সড়ক দিয়ে সন্ধ্যায় পায়ে হেটে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় ফুলতলা ষ্টেশনে মামলার আসামী ছাবের আহমদের সাথে মামলার স্বাক্ষী জাহাঙ্গীর আলমের কথাকাটাকাটি হয়।
এ সময় উত্তেজিত জাহাঙ্গীর আলম দ্রুত চলে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে হাতে সামান্য আঘাত পান। এ সময় তিনি পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি হন।
জখমী সনদসহ মামলায় দৃষ্টি ছিল তার। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তিনি এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে থানায় ও কোর্টে মামলায় দৌড়ঝাপে ব্যস্ত বলে স্থানীয়রা জানান।
ছাবের আহমদ জানায়, ওয়াকফের জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। সেখানে আমাকে অহেতুক আসামী করা হয়েছে কেন তা জানতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
Posted ১০:২৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta