নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া(২৮ সেপ্টেম্বর) :: পেকুয়ায় বৃক্ষের সাথে নিষ্টুরতা চালায় একটি চক্র। পাহাড়ী রিজার্ভ জায়গা জবর দখলে নিতে কৃষকের বিপুল পরিমান বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর সুত্র ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের আওতাধীন ১২ একর জায়গা নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে একটি পক্ষ ভাড়াটে লোকজন বাগানে হানা দেয়। এ সময় বাগানে তান্ডব চালায় তারা। মালিকের সৃজিত ফলজ বাগানের অন্তত দেড় শতাধিকেরও বেশী উঠতি বৃক্ষ কেটে সাবাড় করা হয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের মধুখালী লম্বাঘোনা গোলপাহাড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ দিকে পাহাড়ী জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিগত ১৯৬০ ইং সালের দিকে টইটং এলাকার মুন্সী মিয়া লম্বামোড়ায় প্রায় ১২ একর জায়গা রক্ষনাবেক্ষন করে আসছিলেন। দুর্গম পাহাড়ী জায়গাটি তিনি বেকারত্ব দুরীভূত করতে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ সৃজন করে দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক ছিলেন।
তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে ও নাতী-নাতনীরা এ জায়গার ভোগ দখলদার। তার নাতী গিয়াস উদ্দিনসহ অপর ওয়ারিসরা এ জায়গায় বিগত কয়েক বছর আগে বিপুল অংশে আম, পেয়ারা, লিচু, কাঠাল, জামরুল, কলা, পেঁপেসহ নানান ফলজ বাগান সৃজন করে। কয়েক হাজার বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। গাছ গুলোতে বর্তমানে ফলন উপযোগী হয়েছে।
ওই দিন দুপুরে জানআলীমোড়া এলাকার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে রবিউল আলম, পুরাদিয়া এলাকার আবদুল হকের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, সোনাইছড়ি এলাকার মোস্তফা আলীর ছেলে মাহমুদুল করিম এর নেতৃত্বে ভাড়াটে লোকজন গোলপাহাড়ে হানা দেয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে তারা এ সব বৃক্ষ কেটে সাবাড় করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ের আধিপত্য নিয়ে ওই দিন কয়েকদফা ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। মৃত মূন্সী মিয়ার নাতি ও ৫ নং ওয়ার্ড আ’লীগের প্রচার সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের মালিকানাধীন বাগানে হানা দিয়ে অপর অংশীদারদের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে রবিউল আলম গং সোনাইছড়ি হিরাবুনিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দাগী অপরাধীদের জড়ো করে পাহাড়ে। তাদের মহড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ক্ষেপে যান। এর সুত্র ধরে ওই দিন গুলি ছোড়ে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিউল আলম ছড়া থেকে মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করছিলেন। কৃষকরা জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগে বাধাগ্রস্ত হচ্ছিলেন।
এ নিয়ে তারা বালি উত্তোলন বন্ধ রাখতে রবিউল আলমকে নিষেধও করেছেন। এ সব নিয়ে ক্ষেপে যান রবিউল আলম। ওই দিন তারা স্বশস্ত্র অবস্থান নেন মধুখালীতে। স্থানীয়দের সাথে তাদের গুলিবিনিময় হয়েছে।
এ ব্যাপারে এস,আই মাহফুজুর রহমান জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলা হয়নি।
Posted ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta