নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৯ আগস্ট) :: বৃদ্ধা নারীটি যাবে কোথায়? বিচার পাবে কোন জায়গায়। ফুসলিয়ে সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি নেয় নাতী। সম্পত্তির মুল্য নির্ধারিত হয়েছে। তবে কিছু টাকা নগদে প্রদান করা হয়েছে রেজিষ্ট্রি সম্পাদনে। অবশিষ্ট বিপুল অংকের টাকা বকেয়া থেকে যায়।
এ ভাবে ১০ শতক জায়গা নাতি নানীর কাছ থেকে কবলা নেয়। তবে কবলা দিয়ে চরম বেকায়দায় বৃদ্ধা এ নানী। নাতী প্রতারনার আশ্রয় নেয়।
নানীকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ হয়েছে। জমি রেজিষ্ট্রি দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে বৃদ্ধা এ নারী। এখন বকেয়া টাকার জন্য ছুটছেন নাতীর ধারে। তবে কৌশলী নাতী সম্পত্তি নিয়ে সটকে পড়ে। এ বিষয়ে আত্মীয় স্বজন সুরাহা দেয়ার প্রচেস্টা চালায়। কোথাও সমাধান পাওয়া যায়নি।
একমাত্র মিরাজপ্রাপ্ত সম্পত্তি নাতির কব্জায়। টাকা নেই, সম্পত্তিও নেই। যার নেই তার কিছুই নেই। বিচারের জন্য তার ছুটাছুটি। কে শুনবে বৃদ্ধা মহিলার এ দুর্দশা ও আকুতি। বিচার পাবেন কি তিনি। আর বিচার যদি নাইবা পান বৃদ্ধাটি বাঁচবে কোথায়। থাকবে কোথায়। তার ৪ মেয়ে ও ৩ ছেলে। ২ ছেলে মারা যায়। ১ ছেলে মাকে সেবা যতœ থেকে বিরত। ওই ছেলে মার অবাধ্য।
বৃদ্ধা নারী জানায়, এ ছেলে তার ভাগিনাকে দিয়ে মিরাজ সম্পত্তিটি ভাগিয়ে নেয়।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবরপাড়া গ্রামে নানীর সাথে নাতির এ প্রতারনা হয়েছে। নানীর নাম নুরুন্নাহার বেগম। তিনি ওই এলাকার মৃত আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী বলে জানা গেছে। ওই নারীর বয়স হবে আনুমানিক ৭০ বছর।
বিধবা এ নারীর মিরাজপ্রাপ্ত ১০ শতক জমি বিক্রি হয়েছে। তার নাতি সেলিম উদ্দিন এ জমি ক্রয় করে। ৩ লক্ষ টাকা মুল্য নির্ধারন হয়েছে। ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। অবশিস্ট টাকা দিবে মর্মে নন জুড়িশিয়াল ষ্ট্যাম্পে অঙ্গীকার হয়। ১ বছর অতিবাহিত হয়েছে। টাকা এখনো মেলেনি বৃদ্ধা নুরুন্নাহারের কপালে। তিনি বিচার দিয়েছেন। নাতীকে বিবাদী করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়। তবে কোথাও সুরাহা হয়নি। ব্যাংকের একটি চেক এ নারীকে ধরিয়ে দেয়। তবে ওই হিসাব নম্বরে নাতির কোন টাকা ব্যাংক শাখায় নেই।
এ ভাবে সময়ক্ষেপন চলছে বৃদ্ধা এ নারীর প্রতি। তবে বিচার পাবেন কি এ নারী। এমন প্রশ্ন এখন মানুষের মাঝে। নাতির এমন দুরন্ত প্রতারনার বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসছে পেকুয়ায়।
Posted ১০:১০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta