নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১১ আগষ্ট) :: পেকুয়ায় অন্ত:স্বত্তা ভাবীকে পেটাল পাষন্ড দেবর। এ সময় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা অন্ত:স্বত্তা জখমী ওই নারীকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর জের ধরে গৃহবধূর স্বামী পেকুয়া কলেজ গেইটের ব্যবসায়ী পেকুয়া থানায় এজাহার প্রেরন করে।
১০ আগষ্ট রাত ১০ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিণাফাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মহিলার নাম নুপুর বেগম(২৬)। তিনি ওই এলাকার সাহাদাত হোসেনের স্ত্রী।
লিখিত এজাহার ও স্থানীয় সুত্র জানায়, বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে নুপুর বেগমের স্বামী ব্যবসায়ী সাহাদাত হোসেন ও তার ছোট আহসান হাবিবের বিরোধ চলছিল। স্থানীয়ভাবে পরিমাপসহ বসতবাড়ি সমান অংশে দু’ভাইকে পৃথক করে। সালিশি প্রতিনিধিরা রোয়েদাদ সৃষ্টি করে। বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়।
এমনকি ২০ হাজার টাকা বড় ভাই সাহাদাত ছোট ভাইকে দেয়। গত এক সপ্তাহ আগে বিষয়টি মিটমাট করা হয়। ঘটনার দিন রাতে আহসান হাবিব ও তার স্ত্রী রুবি আক্তার একই বিষয়ে বাকবিতন্ডাসহ গালিগালাজ করছিলেন।
এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাইয়ের রুমে হানা দেয়। এক পর্যায়ে তারা পিটিয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী নুপুর বেগমকে জখম করে। এ সময় ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ৮ আনা ওজনের কানফুল ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে বড় ভাই সাহাদাত হোসেন দ্রুত বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় হামলাকারী দেবর ও জাঁ সটকে পড়ে।
সাহাদাত হোসেন জানায়, তারা অত্যাচারী। ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। এরপরও ফের চাঁদা দাবী করছিল। আমি অতিষ্ট হয়েছি। স্থানীয়রা ননজুড়িশিয়াল স্ট্যাম্পসহ এ বিষয়টি নিস্পত্তি করে। আমার স্ত্রী ৬ মাসের অন্ত:স্বত্তা। তারা মারাত্মক জখম করে এ নারীকে। প্রচুর রক্তক্ষরন হচ্ছিল।
Posted ৭:৪৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta