নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১০ জানুয়ারী) :: পেকুয়ায় রিসিভার মামলার জমি থেকে চলছে টপ সয়েল লুট। লীজ গ্রহীতা ৪.৯০ শতক জমির মাটি পাচার করে হাতিয়ে নিল লাখ টাকা। এতে করে তিন ফসলী জমির উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। রিসিভার মামলার জমি থেকে মাটি পাচার হওয়ায় স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিচারাধীন মামলার ওই জমির টপ সয়েল পাচার হওয়ায় এর উর্বরতা শক্তি হ্রাস পেতে চলছে। প্রায় দেড়ফুট থেকে দুই ফুট গর্ত করা হচ্ছে। স্কেভেটর জমিতে রাখা হয়েছে। যান্ত্রিক যন্ত্র মাটি খনন করছে। পাচারে পরিবহন ব্যবহৃত হচ্ছে পিকআপ ও মিনি ট্রাক।
গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সিকদারঘোনা বিল থেকে মাটি পাচারের মহোৎসব চলছে। কাচারীমোড়া কসাইপাড়ার পশ্চিম ও বারবাকিয়া বাজারের পূর্ব ও দক্ষিন অংশে সিকদারঘোনা ফসলী জমি থেকে মাটি লুট চলছে।
স্থানীয়রা জানায়,শিলখালীর কসাইপাড়ার মৃত উপন্দ্র লাল শীলের ছেলে গোপাল চন্দ্র শীল জমি থেকে মাটি পাচার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ওই ব্যক্তি সহকারী কমিশন ভূমি পেকুয়া থেকে রিসিভার মামলার এ জমি ইজারা নেয়।
ফসল উৎপাদন করতে তাকে জমি লীজ দেওয়া হয়েছে। তবে লীজ গ্রহীতা দুর্লোভী বসবতি হয়ে অধিক টাকা আয়ের জন্য এ জমি থেকে কৌশলে মাটি পাচার করয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতি গাড়ী মাটি বিক্রি বাবত গোপাল পেয়ে থাকে ৫শ থেকে ৭শ টাকা। এ ভাবে প্রতিদিন ওই জমি থেকে শত শত গাড়ী মাটি নি:স্বরিত হচ্ছে। জমি অত্যন্ত উর্বর। সিকদারঘোনার বিরোধীয় এ জমিতে প্রতি বৎসর তিন ফসলী ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। একইভাবে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন সবজি উৎপাদনও জমিটি অত্যন্ত উপযোগী।
জানা যায়, ৪ একর ৯০ শতক জমি নিয়ে গোপাল চন্দ্রশীল ও বারবাকিয়ার ওয়ারেচী পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকাদ্দমা আছে। বিষয়টি অনিষ্পত্তি থাকায় ১৯৯৩ সাল থেকে জমিটি রিসিভার আছে। সহকারী কমিশন ভূমি এ জমির দেখভাল করছেন। গোপাল চন্দ্র শীল জমি ইজারা নেয়। মামলার এ জমি লীজ নিয়ে ওই ব্যক্তি মাটি পাচার কাজ অব্যাহত রাখছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গোপাল অত্যন্ত চতুর চালাক প্রকৃতির লোক। তিনি এ জমি গর্ত করে মাটি বিক্রি করে। তারা জানায়, ব্যাপক হারে মাটি লুট হওয়ায় জমির শ্রেনী পরিবর্তন হয়েছে। একদিকে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে বিরোধীয় জমি থেকে মাটি বিক্রি হওয়ায় এর ত্বক ও মাটির অম্ল চিরতরে লোপ পাচ্ছে। গাড়ী গাড়ী মাটি নি:স্বরিত হওয়ায় ফসল উৎপাদনের সক্ষমতা চিরতরে হারিয়ে ফেলার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
জানতে চাইলে গোপাল চন্দ্র শীল জানায়, রিসিভার জমি আমি আগাম নিয়েছি। মাটি বিক্রি করলে সমস্যা কোথায়। এ জমির জন্য আমি লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। আমার প্রতিপক্ষ এ সম্পত্তি রিসিভার থাকা অবস্থায় বিক্রি করে দিয়েছে। তার কিছুই হয়নি। আমি মাটি বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করছি। এখানে কারও সমস্যা হওয়ার মত দেখছি না।
Posted ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta