নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১ এপ্রিল) :: পেকুয়ায় ২ একর ৪০ শতক লবণ চাষের জমিতে তান্ডব চালিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় লবণ উৎপাদনে মাঠে বিছানো পলিথিন বিনষ্ট করা হয়। মাঠে অনুপ্রবেশ করে ওই দুবৃর্ত্তরা। ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। চাষীরা এগিয়ে আসলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লবণ চাষীদের তাড়িয়ে দেয়।
এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। লবণ চাষীরা জড়ো হয়।
এ সময় বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করে। রবিবার ১ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ধারিয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মারামারি ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন সকালে লবণ চাষী হুমায়ুন, আলাউদ্দিন ধারিয়াখালীতে মাঠে কাজ করছিলেন। এ সময় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী এলাকার তকরিছ, আবিদ, আজিজ, হারুনুর রশিদ, সোহেলসহ ১০/১২ জনের লোকজন এদের জমিতে হানা দেয়।
এ সময় উত্তেজিত লোকজন জমিতে বিছানো লবণ উৎপাদনের পলিথিন বিনষ্ট করে। মাঠে পলিথিনে লবণের স্তুপ ছিল। এ সব লবণ ও পলিথিন বিনষ্ট করা হয়। এক পর্যায়ে মাঠ গর্ত করে দেয়।
চাষীরা জানায়, তকরিছ,আবিদসহ দুবৃর্ত্তরা কয়েকদিন আগে থেকে চাষীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করছিল। এ নিয়ে তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। হাকাবকা ও গালিগালাজ হয়েছে। ওই দিন তারা অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে আমাদের জমিতে আক্রমন করে। তারা অস্ত্র উচিয়ে ভীতি ছড়ায়। এ সময় তারা এ তান্ডব চালায়। ভয়ে আমরা পালিয়ে যায়।
এ সময় মাঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত করে। বাইন্নাঘোনা এলাকার এজাহারুল ইসলাম, বদিউল আলম, নুরুল আলম, নুরুল ইসলাম, নুরুল আবছার জানায়, এ জমি আমাদের ক্রয় সুত্র সম্পত্তি।
মাতবরবাড়ীর নুরুল হায়দার চৌধুরী গং জমি বিক্রি করে। দালিলিক মালিক হিসেবে আমরা জমির জমাভাগ খতিয়ানসহ যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের সংরক্ষনে। নুরুল আজিমকে এ জমি চলতি মৌসুমে লাগিয়ত করি। তিনি লবণ চাষ করছিলেন।
নুরুল আজিম জানায়, আমার বাবাও জমির মালিক। সব মালিকের জমি আমি আগাম নিয়েছি। চাষা দিয়েছি জমিতে। লবণ উৎপাদন করতে চাষীরা কাজ করছিল। তারা বহিরাগত। ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়েছে। মাঠের যে ভাবে ক্ষতি হয়েছে এ ভাবে অনেকদিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হবে।
Posted ১১:৪২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta