নাজিম উদ্দিন,পেকুয়াু(১৪ সেপ্টেম্বর) :: পেকুয়ায় শাশুড়কে পেটালেন মেয়ের জামাই। অপহৃত এক স্কুল ছাত্রীকে বিবাহ করে ঘর সংসার করছে যুবক। মেয়েটিকে ফুসলিয়ে প্রেম করে ওই যুবক। অতপর বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন করে।
এ সময় মেয়েটির সাথে চরম প্রতারনার আশ্রয় নেয় ওই যুবক। বিয়ের দাবীতে মেয়েটির পিতা ওই যুবকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলা রুজু করে। গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে আদালত।
এ সময় মেয়েটিকে বিয়ে করতে বাধ্য হন যুবক। তিন মাস অপহৃত থাকার পর মেয়েটিকে স্ত্রীর মর্যাদা দেয় যুবক। বিয়ে হয়েছে এক বছর আগে। তারা একটি ছেলে সন্তানের পিতা-মাতা। তবে কাবিন ছাড়াই হয়েছে বিবাহ। মেয়ের কাবিন নিয়ে জামাতার সাথে কথা চলছিল শাশুড়ের।
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধারালো ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করা হয়। এ সময় পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাচান শাশুড়। পিছনে ধেয়ে গিয়ে তাকে ধরে ফেলে মেয়ের জামাই। এ সময় কিল, ঘুষি, মাটিতে ফেলে লাথি মারে মেয়ের জামাই। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তির নাম আবু তৈয়ব(৫০)।
তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিলাহাসুরা এলাকার মৃত এলাহাদাদের পুত্র। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, ওই দিন আবু তৈয়ব মগনামা জেটিঘাটের উত্তর পার্শ্বে হুমায়ুন কবির চৌধুরীর চিংড়ি ঘেরে কাজ করছিলেন।
এ সময় তার মেয়ের জামাই বারবাকিয়া ইউনিয়নের কুতুবপাড়া এলাকার আতাউল্লাহর ছেলে পারভেজ ৩/৪ জন মিলে আবু তৈয়বকে প্রাণ নাশ চেষ্টা চালায়। আবু তৈয়ব জানায়, আমার মেয়ে রুবাইদা বেগমকে অপহরণ করে পারভেজ। মেয়ে মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছিল। আমি মামলা করি। এরপর মেয়েকে অপহরণ করে পারভেজ।
তিন মাস অজ্ঞাত স্থানে তাকে জিম্মী করে রাখে। মামলা হয়েছে। ওয়ারেন্ট ছিল। জেলে গিয়েছিল। মেয়ের করুনায় সে বের হয়েছে। কাবিন হয়নি এ বিয়েতে। সংসারে একটি ছেলে হয়েছে। কাবিনের জন্য বলছিলাম। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
Posted ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta