নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৩০ অক্টোবর) :: সরকারী অনুষ্টান পন্ড করলেন শিক্ষা কর্মকর্তা। সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্টান গুলোতে বিজয় ফুল তৈরীর অনুষ্টান সুচিত হয়েছে। এ প্রথম বারের মত সরকার বিজয় ফুল কার্যক্রম এর যাত্রা সুচিত করে। বিজয় ফুল হবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতীক।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতে বিজয়ফুল তৈরীর অনুষ্টান কার্যক্রম পালন করতে নির্দেশনা দেয়। উপজেলা পেকুয়ায় এর ধারাবাহিকতায় এ কার্যক্রম সুচিত হয়েছে।
২৮ অক্টোবর পেকুয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোতে বিজয় ফুল তৈরীর অনুষ্টান সম্পন্ন করে।
এ দিকে ওই দিন পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া এ,এস আলিম মাদ্রাসায় বিজয় ফুল অনুষ্টান চলছিল। মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এ অনুষ্টানকে সফল ও সার্থক করতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয়। সকল শিক্ষার্থী বিজয় ফুল অনুষ্টানকে প্রানবন্ত ও উচ্ছাসে পরিনত করছিলেন। সকাল ১০ টার দিকে বিজয় ফুল তৈরীর কার্যক্রম এ মাদ্রাসায় বাস্তবায়ন হচ্ছিল।
এ দিকে অভিযোগ উঠে বিজয়ফুল অনুষ্টানকে ঘিরে দুপুরের দিকে হট্রগোল দেখা দেয়। সরকারের নির্দেশিত এ কার্যক্রমকে অনেকটা বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠে, খোদ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ অনুষ্টানকে পন্ড করে দেয়। অনুষ্টান চলছিল। এ সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আ.ফ.ম হাসান মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে দ্রুত অনুষ্টানস্থলে প্রবেশ করে।
এ সময় মাইক্রোফোনের স্পীকার টানাটানি নিয়ে এক উদ্ভূট পরিস্থিতির অবতারনা হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক,সঞ্চালক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মধ্যে অশোভন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মুহুর্তের মধ্যে তুলকালামকান্ড দেখা দেয়। এর সুত্র ধরে বিজয়ফুল তৈরীর অনুষ্টান পন্ড হয়ে যায়।
দায়িত্বশীল একজন সরকারী কর্মকর্তা অপরদিকে খোদ উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রসারে এ কর্মকর্তার এহেন আচরনে শিক্ষার্থীসহ উপস্থিত সকলে হতভম্ব হন। এ সময় উচ্চ মাধ্যমিক লেবেলের এক শিক্ষকের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। তেড়ে গিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ওই শিক্ষককে বকাঝকাসহ ওই স্থানে লাঞ্চিত করার প্রচেষ্টা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষককে লাঞ্চিত ও হাকাবকা ধমকি দেয়ার এ ঘটনায় মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী মুহুর্তের মধ্যে প্রতিবাদমুখর হন।
এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেগতিক অবস্থা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে এ মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিবৃত করার চেষ্টা করছিলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখতে পেয়ে উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা দ্রুত মাদ্রাসা ত্যাগ করছিলেন।
শিক্ষক আবদুল মান্নান জানায়, সরকারী অনুষ্টান চলছিল। এ সময় শিক্ষা কর্মকর্তা যে কান্ড সংঘটিত করেছে তা অমার্জনীয়। ছাত্র-ছাত্রীরা তার এ আচরনের প্রতিবাদ করছিল। অবশ্যই তিনি এদের কাছ থেকে এ পরিস্থিতির জন্য দু:খ ও ক্ষমা চেয়ে নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই কর্মকর্তা তিনি কেমন কর্মকর্তা। নীতিবোধ ও শিষ্টাচারিতা কি তার মধ্যে নেই। থাকলে এমন উত্তেজিত হন কিভাবে।
অপরদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে আনীত এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা জানায়, বিজয়ফুল অনুষ্টান পন্ড হয় নি। আমি মুলত গিয়েছিলাম তদন্তকাজে। একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকট হয়েছে। তদন্ত করার সময় ছাত্ররা বিষয়টি মাথায় নেয়। আমি বলেছি তোমরা আমার ছেলে। তোমরা কেন এ বিষয়টি মাথায় নেবা। তোমরা এ সব থেকে বিরত থাক।
উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম,শহিদুল ইসলাম জানায়, এ মাদ্রাসায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে। পকেট কমিটি আত্মপ্রকাশের মুল নেপথ্যের নায়ক এ শিক্ষা কর্মকর্তা। জামায়াত দৃষ্টিভঙ্গি ও এ ধরনের ব্যবস্থাকে জুড়ে দিতে প্রচেষ্টা তৈরী হয়েছে। এ কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তার প্রচেষ্টা হচ্ছে সরকারের নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।
জেলা শিক্ষা অফিসার জানায়, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৯:৩৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta