নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৩ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্টকে পেটালেন জামায়াত ক্যাডার। সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানের জমি বিক্রি করে অবৈধ বসতি স্থাপন করছিলেন ওই জামায়াত নেতা। এ নিয়ে সেনা সদস্যের সাথে বাকবিতন্ডা হয় তার। এর জের ধরে ভূমিদস্যু ওই জামায়াত ক্যাডার ও তার অনুগত ভাড়াটে অস্ত্রধারীরা লাঞ্চিত করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত এ কর্মকর্তাকে। এক পর্যায়ে তাকে কিল, ঘুষিসহ মারধর করা হয়েছে।
রবিবার ৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ষাটদুনিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার সেনা সদস্যের নাম মুহাম্মদ মামুন(৪৫)। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই এলাকার মৃত আমির হামজার ছেলে।
পেকুয়া থানায় রবিবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মামুন বাদী হয়ে অভিযোগে ১নং বিবাদী করেছেন একই এলাকার আমিরুজ্জামানের ছেলে মাইনুল ইসলাম প্রকাশ মানিক(৩৮)কে।
এ ছাড়া অভিযোগে মানিকের ভগ্নিপতি মৃত বদরুজ্জামানের ছেলে ও পেকুয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকেও আসামী করা হয়েছে। মাইনুল ইসলাম প্রকাশ মানিক সাবেক ছাত্রশিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার। বর্তমানে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের উজানটিয়ার ক্যাডার বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ষাটদুনিয়াপাড়ায় বিপুল পরিমাণ সরকারী ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত সম্পত্তি বেহাত হয়েছে। আমিরুজ্জামানের ছেলে মানিক ও তার ভগ্নিপতি পেকুয়ারচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন মিলে প্রায় ৫ একরেরও অধিক জমি প্লট আকারে বিক্রি করছেন। ওই জমিতে গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ২০ টির অধিক বসতি স্থাপন করা হয়েছে। তারা শ্যালক, ভগ্নিপতি ওই জমি দখল দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
করিমদাদ মিয়া জেটিঘাট ও কাটাফাড়ি ব্রীজ সড়কের মধ্যম উজানটিয়া ষাটদুনিয়াপাড়ায় পয়েন্টে সড়কের নিকট ওই জমি নন জুড়িশিয়াল ষ্ট্যাম্পমুলে সর্বোচ্চ মুল্যে বিক্রি করছে। ওই দিন সকালে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মুহাম্মদ মামুন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন। এ সময় ফোরকাইন্নার দোকানের নিকট তাকে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করছিলেন মানিকগং।
এ নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। কিছুক্ষন পর মানিক ও জসিম মাস্টারের নেতৃত্বে ভাড়াটে লোকজন ধারালো অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে সেনা সদস্যকে হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় অবস্থার বেগতিক দেখতে পেয়ে তিনি দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে ওই কর্মকর্তা জানায়, অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে তারা আমাকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়।
এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মামুন জানায়, তারা ভূমিদস্যু। যে ভাবে সরকারী জমি বিক্রি করছে এ ভাবে হলে আর জমি থাকবে না। আমি অবৈধ বসতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। জনগনকে সচেতন হতে বলেছিলাম। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কিরিচ, দা ও অস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে পেকুয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালানো হয়। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Posted ৮:১৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta