নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৪ আগস্ট) :: পেকুয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় সমাজপতি ও মাদ্রাসা ছাত্রীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
১৪ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনা গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-ওই এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে ও নতুনঘোনা সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার জাকের হোসেন(৪৫), কামাল হোসেনের স্ত্রী মোহরম বিবি(৫৫) ও মৃত মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার(২৭) ও আবদুল কাদেরের মেয়ে পেকুয়া মহিলা মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী শাহিদা(১৫)। ঘটনার জের ধরে এলাকায় স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানায়, সীমানা বিরোধ নিয়ে মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ও মো: কাইছারের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
দু’পরিবারের বসতবাড়ির সীমানা নিস্পত্তি করা হয়েছিল। সমাজপতিরা দু’পরিবারের মাঝখানে আরসিসি পিলার পুঁতে দেয়। ঘটনার দিন সকালে কাইছার শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে বসতবাড়ির কাজ করছিলেন।
এ সময় মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ও কাইছারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় সমাজপতি জাকের হোসেন ওই স্থানে গিয়ে দু’পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করছিলেন। এক পর্যায়ে দু’পক্ষ ইট পাটকেল ছুটছিল। ছুড়া ইটপাটকেলে সমাজপতি জাকের হোসেনের মাথায় আঘাত লাগে। এ সময় লোকজন উত্তেজিত হয়ে মারামারিতে জড়িয়ে যায়। এতে উভয়পক্ষের এ ৪ জন আহত হয়েছে।
সমাজকমিটির সদস্য আবুল বশর জানায়, মুজিবের স্ত্রী ইয়াসমিন অন্যায় আচরন করে। কাইছার তার সীমানায় মাটি ভরাট করছিল। সীমানা বিরোধ আমরা পরিমাপ করে নিস্পত্তি করেছি। কাইছার সীমানা অতিক্রম করেনি। সর্দার জাকের হোসেনকে ইট মেরে মাথায় আঘাত করা হয়েছে।
অপরদিকে বিধবা ইয়াসমিন আক্তার জানায়, সমাজপতি জাকের হোসেন কাইছারের ভাড়াটে হিসেবে গিয়ে মারামারি করেছে। তারা অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে বাড়ি আক্রমন করে।
Posted ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta