মো: ফারুক,পেকুয়া(৩ ডিসেম্বর) :: জননেত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক উন্নয়ন, দলীয় নেতাকর্মী আর সাধারণ জনগণ হচ্ছে আমার ভোট ব্যাংক। আপনারা দেখুন মগনামায় সাব-মেরিন ষ্টেশন, করিয়ারদিয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পেকুয়া বাজারে বহুদিনের দূর্ভোগ বাজার সড়ক উন্নয়ন, টইটং-বাঁশখালী ইউনিয়নে সংযোগ সেতু কাজ চলমান, পেকুয়া-মগনামা কাটাফাঁড়ি সেতু, রাজাখালী-মগনামা সংযোগ সেতু, প্রতিটি ইউনিয়নে দু’তিনটি করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনসহ, পেকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারীকরণসহ প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রামীন অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছে জননেত্রীর সরকার। বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ হরেক রকম ভাতা দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার।
১০টাকার চালসহ সর্বশেষ অসহায় মানুষদের জন্য বিনামূল্যে ঘর করে দিয়েছে সরকার। কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের সারাজীবন সেবা করে যাচ্ছে জননেত্রীর সরকার। উন্নয়ন আর জনগণের সম্বল নিয়ে আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। চলমান রয়েছে শতশত প্রকল্প। যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চকরিয়া-পেকুয়া হবে আধুনিক নগরী।
অথচ বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমলে কিছু রাস্তাঘাট উন্নয়নের নাম করে ব্যাপক দূর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা লুঠপাট করেছে। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ নিজের অর্থসম্পদ বিত্ত্বশালী করেছে।
আপনারা দেখেছেন ২০০৮সালের ভোটের পর হাসিনা আহমেদ আর এলাকায় আসেনি। খবর রাখেনি এলাকাবাসীর। অথচ এখানে আ’লীগের দলীয় এমপি না থাকলেও চকরিয়া-পেকুয়ার জনগণকে আপন করে নিয়ে সুঃখ দুঃখের ভাগিদার হয়েছি। শত প্রতিকূলতার মাঝেও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সরে যায়নি। সেই ত্যাগের মূল্য জননেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়ে দিয়েছে। এ ত্যাগের মূল্য নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে আমাদের দিতে হবে।
আপনাদের কথা দিচ্ছি চকরিয়া-পেকুয়ায় ৯০হাজারের অধিক ভোটে পরাজিত করতে না পারলে আমি জাফর হিসাবে আপনাদের সামনে আর আসব না। আর ভোটের জন্য আপনাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। সমস্ত ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকা থাকলে আপনারা আমরা থাকব।
সোমবার (৩নভেম্বর) পেকুয়া বাজারস্থ ঋণদান সমিতি কমিউনিটি হল রুমে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আ’লীগ চকরিয়া-পেকুয়া আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া চকরিয়া-পেকুয়ার তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা জাফর আলম উক্ত কথাগুলো বলেন।
ওই সময় জাফর আলম আরো বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ও তার অনুগত বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট ছিল আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের আমলে মামলা আর জেল জুলুমে কাঠাতে হয়েছে আমিসহ আমাদের নেতাকর্মীদের। তাদের নির্মম নির্যাতনে পেকুয়ার আপমর জননেতা ফরিদুল আলম অকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বখতিয়ার, আবুল কাশেম থেকে শুরু হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল আ’লীগ নেতাকর্মীদের জমি আর বসতবাড়ি। সেই নির্যাতনের কথা মনে পড়লে আমরা ঘুমাতে পারিনা। সেই সালাউদ্দিন আহমেদ এখন নিজ দেশ ছেড়ে ভারতে অবস্থান করছে। পাপ বাপকেও ছাড়েনা। তাই আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। দলীয় মনোনয়নের বিরুদ্ধে দলের লোক ঘাতকতা করলে জননেত্রী কাউকে ছাড় দিবেনা। সুতরাং এক হয়ে কাজ করুণ। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কাজ করুণ।
উপজেলা আ’লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় উক্ত প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এড. কামাল হোসেন, জেলা আ’লীগ সদস্য গিয়াস উদ্দিন, সদস্য জিএম আবুল কাশেম, সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া পৌর আ’লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদি, সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আজম খান, রাজাখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি, টইটং ইউপির চেয়ারম্যার জাহেদুল ইসলাম, উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর, মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি খায়রুল এনাম, উজানটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বারেক ও পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান ফরায়েজী।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, বারবাকিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবুল শামা, সম্পাদক কামাল হোসেন, টইটং আ’লীগ সভাপতি সরওয়ার আলম, সদর আ’লীগ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, মগনামা ইউনিয়ন সম্পাদক রশিদ আহমদ, রাজাখালী ইউনিয়ন আ’লীগ সম্পাদক আবুল কাশেম, উজানটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সম্পাদক মোঃ শাহাজামাল, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ওসমাণ গণি, সম্পাদক নেজাম উদ্দিন, সৈনিকলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলামসহ উপজেলা আ’লীগ, ইউনিয়নয় আ’লীগ, ওয়ার্ড আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এদিকে প্রতিনিধি সভা চলাকালে উজানটিয়া ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা রহিম উদ্দিন ও ইউপি সদস্য যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক বিএনপি’র নেতাকর্মী জাফর আলমের হাতে ফুল দিয়ে আ’লীগে যোগদান করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে জাফর আলমের হাতকে শক্তিশালী করতে তারা আ’লীগে যোগদান করেছে বলে এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেন।
Posted ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta