মো: ফারুক,পেকুয়া(১৪ নভেম্বর) :: ফরিদুল আলম আপনাদের এলাকার সন্তান হলেও কক্সবাজার জেলায় তার একটা সুনাম ছিল। এ সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে গিয়ে আওয়ামী রাজনীতির একনিষ্ট কর্মী হয়ে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে অসম নির্যাতন ও জেলজুলুমেও তাকে ধমাতে পারেনি। তাদের নির্যাতনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অকালেই তার মৃত্যু হল।
আওয়ামী রাজনীতির কোন নেতাকর্মী গরীব অসহায় নয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোঁজ খবর রাখেন। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে আজকের শোক সভার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারকে নিষ্টুরভাবে আঘাত করা হয়েছিল। কথা দিয়েছিলাম জাহাঙ্গীরকে আপনাদের মাঝে ১৫দিনের ভিতর ফিরিয়ে দেব। কথা রক্ষা করেছি।
ফরিদুল আলমের মৃত্যুর সংবাদে আমিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা খুবই মর্মাহত হয়েছি। তার মেয়ে পুস্পা মণি ও পরিবারের জন্য আমাদের যা যা করণীয় তা আমরা করব। তার মেয়ের জন্য আর্থিক ফাউন্ড করে তা রক্ষা করব ইনশাল্লাহ। আপনারা হাত তুলে তাকে ক্ষমা করে দিন। ওই সময় আগত লোকজন দু’হাত তুলে তাকে ক্ষমা করার ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ফরিদ চলে গেলেও শতশত ফরিদ পেকুয়ার আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে তিনি সৃষ্টি করে গেছেন। ফরিদুল আলমের সততা আদর্শকে ধারণ করে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
আগত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, আমি জেলা আ’লীগের সেক্রেটারী দলীয় নেতার শোক সভায় আসলাম। অথচ পেকুয়া আ’লীগের সম্পাদক আবুল কাশেমসহ অনেকে শোক সভায় কেন আসলেন না তা আমি জানতে চাই। ত্যাগি একজন নেতাকে নিয়ে আমি রাজনীতি পছন্দ করিনা।
জেলা আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমর উদ্দিন বলেন, আওয়ামী রাজনীতিতে ফরিদুল আলমের অবদান আমরা ভুলতে পারবনা। তার পরিবারের জন্য কিছু করা আমাদের করণীয়। তার একমাত্র মেয়ে পুস্পা মণির লেখাপড়ার সমস্ত ব্যায়ভার আমি নিজ উদ্যোগে বহন করব।
সদ্য প্রয়াত পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলমের স্বরণে শোক সভা পালন কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে সদর ইউপি কার্যালয়ের মাঠে অনুষ্টিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কক্সবাজার জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এ্যাডঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ সদস্য উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অনুষ্টিত শোক সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সহসভাপতি এ্যাডঃ আমজাদ হোসেন, সহসভাপতি রেজাউল করিম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিথুন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমর উদ্দিন আহমদ, সদস্য এটিএম জিয়া উদ্দিন জিয়া, সদস্য এসএম গিয়াস উদ্দিন, উম্মে কুলসুম মিনু, চকরিয়া উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়ার আ’লীগ নেতা বখতিয়ার উদ্দিন চৌ, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, এম.শহিদুল্লাহ, কাজিউল ইনসান, জাহাঙ্গীর সত্তার, আবু তালেব, মাশুক আহমদ, কামাল হোসেন, সাইফুউদ্দিন খালেদ, আজম খান, মাষ্টার হানিফ, এসএম শাহাদত হোসেন, জোবাইদুল্লাহ লিটন, নুরুল আবছার, আকতার হোসেন, শফিউল আলম, জায়েদ মোর্শেদ, সেলিম উদ্দিন, বাজার সমিতির সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন, সালাউদ্দিন মাহমুদ, ইউনুস কাদেরী, মো: হুমায়ন, এনামুল হক, জাফর আলম, হারুণুর রশিদ, ফরিদুল আলমের ভাতিজা সেকান্দর, আনসার উদ্দিন, জয়নাল আবদীন ছোট, ফারুক আজাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শোক সভা পালন কমিটির নেতৃবৃন্দ, উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এদিকে সকাল ৮টায় জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে শোক সভা পালন কমিটির নেতৃবৃন্দরা মরহুম ফরিদুল আলমের নিজ বাড়িতে খতমে কোরাআন ও দোয়া মাহফিল, ৯টায় কালোব্যাজ ধারণ, ১০টায় পবিত্র কবর জিয়ারত ও মোনাজাত, ১১টায় তার ইছালি সাওয়াবের ওছিলায় ফল/ফলাদি বিতরণ করা হয়।
Posted ৯:৪৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta