শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পোশাক রফতানি : বাজার দখলে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ভিয়েতনাম

বৃহস্পতিবার, ০২ আগস্ট ২০১৮
320 ভিউ
পোশাক রফতানি : বাজার দখলে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ভিয়েতনাম

কক্সবাংলা ডটকম(১ আগস্ট) :: ২০১৭ সালে ২৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। সে বছর ভিয়েতনাম রফতানি করেছে ২৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। এ হিসাবে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের চেয়ে এখনো ২ বিলিয়ন ডলার কম আয় করে ভিয়েতনাম।

তবে পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজার দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দ্রুত এগোচ্ছে দেশটি। বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিগত বছরে পোশাকের শীর্ষ ১০ রফতানিকারক দেশের আয়, বাজার অংশীদারিত্ব ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

এতে দেখা যায়, বরাবরের মতো ২০১৭ সালেও বৈশ্বিক বাজারে পোশাকের প্রধান রফতানিকারক ছিল চীন। গত বছর পোশাক রফতানি বাবদ দেশটির আয় ১৫৮ বিলিয়ন ডলার। একই খাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর সমন্বিত আয় ছিল ১৩০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে  পোশাক বাজারে রফতানিকারকের তালিকায় ইউরোপীয় দেশগুলো জোটবদ্ধভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

তবে একক দেশ হিসেবে ২৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। আর ২৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির মাধ্যমে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। এ তালিকার চতুর্থ থেকে নবম স্থানে আছে যথাক্রমে ভারত, তুরস্ক, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

পোশাক রফতানির বৈশ্বিক বাজারে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অংশ বা হিস্যার হ্রাস-বৃদ্ধিও উঠে এসেছে ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে। এক্ষেত্রে ২০০০, ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৭ সালের পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। দেখা গেছে, চীনের বাজার-অংশ সম্প্রতি সংকোচনের ধারায় চলে গেছে।

২০০০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে দেশটির হিস্যা ছিল ১৮ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৫ সালে তা বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ২০১০ সালে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়। তবে ২০১৭ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে দেশটির অংশ কমে হয়েছে ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ চলতি শতকের সূচনাকালে সামান্য কমলেও বর্তমানে তা প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অংশ ছিল বৈশ্বিক রফতানির ২ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০০৫ সালে তা কমে হয়  ২ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ৪ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বৈশ্বিক রফতানির ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে।

এদিকে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুতগতিতে বৈশ্বিক রফতানিতে নিজেদের অংশ বাড়াচ্ছে ভিয়েতনাম। ২০০০ সালে বৈশ্বিক রফতানির দশমিক ৯ শতাংশ ছিল ভিয়েতনামের দখলে। ২০০৫ সালে এ অংশ বেড়ে হয় ১ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১০ সালে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বৈশ্বিক রফতানির ৫ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়েছে ভিয়েতনাম।

শীর্ষ ১০ রফতানিকারক দেশের মধ্যে ভারতের হিস্যাও ক্রমেই বাড়ছে। বৈশ্বিক রফতানিতে ২০০০, ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের অংশ ছিল যথাক্রমে ৩, ৩ দশমিক ১, ৩ দশমিক ২ এবং ৪ দশমিক ১ শতাংশ। একই সময়ে তুরস্কের অংশ ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩, ৪ দশমিক ৩, ৩ দশমিক ৬ এবং ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে এরই মধ্যে ছাড়িয়েছে ভিয়েতনাম। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি আয় বেড়েছে মাত্র ২ শতাংশ। একই সময়ে ভিয়েতনামের বেড়েছে ৯ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতেরও পোশাক রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ। শীর্ষ রফতানিকারক দেশ চীনের রফতানি আয়ে কোনো প্রবৃদ্ধি হয়নি বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতেই পারে। কারণ দেশটিতে চীন, জাপান ও কোরিয়ার অনেক বিনিয়োগকারী আছেন। দেশটির কারখানাগুলোয় উন্নত প্রযুক্তির মেশিন আছে, শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতাও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।

চীন ও ভিয়েতনামের সীমান্ত এক। সহজেই কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারে তারা। বাংলাদেশের চেয়ে লিড টাইম অনেক কম। দেশটি স্যুটসহ আরো অনেক হাই ভ্যালু পণ্য উৎপাদন করে। দেশটির নিজস্ব সক্ষমতায় খুব দ্রুতই বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যাওয়া মোটেও অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা হবে না।

বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্রেতা দেশ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পোশাকের বাজার পুরোটাই দখলে নিয়ে নিচ্ছে ভিয়েতনাম। অন্যদিকে ভারত ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে। রাজ্যভেদে পোশাক রফতানিকারকদের বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে ভারত।

গুজরাটের মতো রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ হয়, কোনো সুবিধা দিতে হয় না। অন্যদিকে আমাদের এখানে অনেক সুবিধা দিতে হচ্ছে। আবার সামনে মজুরি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সার্বিক যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে বৈশ্বিক পোশাক রফতানির বাজারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা বেড়েছে, যার পরিমাণ ৮৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের আমদানি ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক রবার্তো আজেভেডোর বরাতে বলা হয়, বিশ্বের ৯৮ শতাংশ বাণিজ্য ডব্লিউটিওর নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। ২০১৭ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আমদানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে দেশগুলোর রফতানি বেড়েছে ১২ শতাংশ। মোট রফতানিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশ ছিল ৪৩ শতাংশের বেশি।

320 ভিউ

Posted ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ আগস্ট ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com