কক্সবাংলা ডটকম(৩১ ডিসেম্বর) :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের যে ফলাফল তা রীতিমতো সুনামি। ফলাফল বলছে, ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়নি।সবমিলিয়ে বড় জেই পেল আওয়ামী লীগ। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচনের পর নৌকার কাণ্ডারিদের এটাই সবচেয়ে বড় জয়।
জিত প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এমন বিপুল ভোটে জিতবে আওয়ামি লীগ, তা বোধহয় জানতেন না শেখ হাসিনা নিজেও। তিন বারের জন্য বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকল হাসিনার সরকার। মূল প্রতিদ্বন্দী বিএনপি কে বিপুল ভোটে হারিয়ে ক্ষমতায় আসল আওয়ামি লীগ।
নির্বাচন চলাকালীন দুই প্রতিদ্বন্দী দলের মধ্যে একাধিক হিংসার ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। নিহত হয়েছেন ১৭ জন। ২০০-এর অধিক মানুষ জখম হয়েছেন।শেখ হাসিনার বিরোধীদের গ্রেফতার করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও এসেছে।
বিরোধী জোট নেতা কামাল হোসেন অভিযোগ করেন সুস্থ নির্বাচন হওয়ার জন্য যতটুকু মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা দরকার, তাও নেই বাংলাদেশে।
৩০ ডিসেম্বর রাতে নির্বাচন কশিন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের ঘোষণা করা বেসরকারি তথ্য অনুসারে, ফলাফল ঘোষণা হওয়া ২৯৮টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫৯টি আসনে এককভাবে জয়লাভ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এমনকি মহাজোটের শরিকদের জয়লাভ করা আসনসহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জিতে আসা মোট আসন সংখ্যা ২৮৭টি। এরমধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০টি আসন পেয়েছে মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচনি জোটবদ্ধ দল জাতীয় পার্টি। বিরোধীদের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ দল বিএনপি পেয়েছে ৫টি আসন। এদিকে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থেকে ২টি আসন জিতেছে গণফেরাম।
এছাড়াও, মহাজোটের শরিক দল হিসেবে ওয়াকার্স পার্টি ৩টি, জাসদ ২টি, বিকল্প ধারা ২টি, তরিকত ১টি, জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু) ১টি আসনে জয়লাভ করেছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন ৩ জন।
নির্বাচনের দিন ঢাকার একাধিক নির্বাচন কেন্দ্র ঘুরে দেখে সাংবাদিকরা। বহু বুথেই বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। চূড়ান্ত হিংসার ঘটনায় একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বাতিল করে দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পুনর্নিবাচন হবে।
২০০৮ এর পর এই প্রথম আওয়ামী লিগ এবং বিএনপি মুখোমুখি লড়াইয়ে নামল। ১০ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটারের মধ্যে রবিবারের নির্বাচনে কত মানুষ ভোট দিয়েছেন, তার কোনও হিসেব এখনও পর্যন্ত দেয়নি নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি, সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি আওয়ামী লিগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ দলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে একাধিকবার। আওয়ামী লিগের শাসনকালে গণমাধ্যমকে দমিয়ে রাখার অভিযোগও এসেছে প্রায়শই।
Posted ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta