কক্সবাংলা ডটকম :: ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ২০২৩ টুর্নামেন্টের অয়োজক থেকে ইন্দোনেশিয়ার নাম বাতিল করার পরে আর্জেন্টিনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (AFA) ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে স্বাগতিক হবার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক বিড করেছে৷
বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার এক কর্মকর্তা প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে আপত্তি জানানোয় ইন্দোনেশিয়া থেকে সড়ে আশার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা।
ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান ইনফান্তিনো কনমেবল কংগ্রেসের প্রাক্কালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ২০২৩ স্বাগতিক হবার জন্য “অন্যান্য দেশ যারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তবে আর্জেন্টিনার এটি একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এবং তার সাথে আসা সমস্ত সরকারী আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে, আর্জেন্টিনা অগ্রগামী অবস্থানে রয়েছে,”
“আমি মনে করি, আগামী দুই বা তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে – এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কারণ ২০ মে থেকে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ শুরু হবে, যা একেবারে সন্নিক।
আর্জেন্টিনার ফুটবল সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, এটি এমন একটি দেশ যেখানে আমি নিশ্চিত যে এই মাত্রার একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে সক্ষম হবে।”
মিঃ ইনফ্যান্টিনো বলেছেন এএফএ সভাপতি ক্লাউদিও তাপিয়া, সেইসাথে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি “শক্তিশালী” বিডের পিছনে “প্রয়োজনীয় আশ্বাস” প্রদান করেছিল, যা তাকে কনমেবলের সভাপতি আলেজান্দ্রো দিয়েছিলেন ডমিংগুয়েজ।
ফিফা সভাপতি বলেছেন “এএফএ-র প্রস্তাবটি ফিফা ব্যুরো [পরিষদের] কাছে পাঠানো হবে, যা শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেবে কে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে,” ।
“আমি অবশ্যই আমার ধন্যবাদ জানাতে চাই, রাষ্ট্রপতি তাপিয়া এবং সমস্ত আর্জেন্টিনাকে, সেইসাথে [আর্জেন্টিনার] সরকারকে, তাদের প্রস্তাব এত দ্রুত সাজানোর জন্য।
এটি সত্যিই আমাদের জীবনকে কিছুটা সহজ করে তোলে।”
এক বিবৃতিতে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ২০২৩ এর আয়োজক হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার নাম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব নতুন আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করা হবে। প্রতিযোগিতার সময়সূচীতে আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না’।
বিবৃতিতে সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে কিছু জানায়নি ফিফা।তবে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (পিএসএসআই) বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য আগামী ২০ মে থেকে ১১ জুনের মাঝে ইন্দোনেশিয়ার ৬টি শহরে অনুষ্ঠিতব্য এই প্রতিযোগিতায় ২৪টি আন্তর্জাতিক যুবদলের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এবারই প্রথম এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে ইসরায়েল।
পিএসএসআইর নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিয়া সিনুলিনগা জানান, ইন্দোনেশিয়ার এক আঞ্চলিক নেতা ‘ইসরায়েল অংশ নিলে’ এ প্রতিযোগিতার খেলা আয়োজনে অস্বীকৃতি জানানোর কারণেই মূলত ফিফা সড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অবকাশ যাপনকেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত বালি দ্বীপের গভর্নর ওয়েইয়ান কোসতার ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে এ প্রদেশে ইসরায়েলের খেলায় অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানান।
ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা আরিয়া আরও জানান, দেশটির ফুটবল সম্প্রদায় ফিফার এ সিদ্ধান্তে ‘চরম হতাশাগ্রস্ত’ এবং কর্মকর্তারা আরও বিধিনিষেধ আরোপ না করার জন্য ফিফার কাছে তদবির করছেন।
তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ বিধিনিষেধ হতে পারে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দলের নিষিদ্ধ হওয়া এবং দেশটির ফুটবল লীগের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নেওয়া’।
ফিফার বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘খুব শিগগির ফিফার সভাপতি ও পিএসএসআইর সভাপতি পরবর্তী আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবেন।’
Posted ১১:৩৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta