কক্সবাংলা ডটকম(১১ জুলাই) :: বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির তালিকায় ফ্রান্সকে হটিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত। বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। পরিবর্তিত তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান সপ্তমে।
গত বছরের শেষে এশিয়ার অন্যতম অর্থনীতিটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। একই সময়ে ফ্রান্সের জিডিপির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গৃহীত অর্থনৈতিক নীতিমালার প্রভাবে বেশ কয়েকটি প্রান্তিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়লেও ২০১৭ সালের জুলাই থেকে দেশটির অর্থনীতি শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।
প্রায় ১৩৪ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে। অন্যদিকে ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭০ লাখ। এ কারণে দক্ষিণ এশীয় দেশটির মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ ফ্রান্সের তুলনায় অনেক কম। বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতের মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ ফ্রান্সের ২০ ভাগের এক ভাগ।
২০১৬ সালের নভেম্বরে আকস্মিকভাবে বড় অংকের ব্যাংক নোট প্রত্যাহার এবং গত বছরের মাঝামাঝি নতুন সমন্বিত কর ব্যবস্থার প্রবর্তন ভারতে মন্থর প্রবৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে গত বছর ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানের পেছনে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত ও ভোক্তা ব্যয় প্রধান চলক হিসেবে কাজ করেছে। এক দশকের মধ্যেই জিডিপি দ্বিগুণ করতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। এছাড়া চীনের প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়তে থাকায় ভারত এশিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শক্তিশালী গৃহস্থালি ব্যয় ও কর সংস্কারের ফলে চলতি বছর ভারতের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং আগামী বছর ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
এর আগে গত বছর শেষে ভারত জিডিপির ভিত্তিতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স উভয়কে ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছিল লন্ডনভিত্তিক কনসালট্যান্সি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ। এমনকি দেশটির ২০৩২ সাল নাগাদ বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
তবে ২০১৭ সাল শেষে ২ লাখ ৬২ হাজার ২০০ কোটি ডলার জিডিপি নিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে নিজ অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে ব্রিটেন। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির জায়গায় বহাল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই রয়েছে চীন, জাপান ও জার্মানি।
এএফপি।
Posted ৩:১২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta