কক্সবাংলা ডটকম(১ মে) :: দেশের ৯ জেলায় রোববার অন্তত ১৯ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চলতি মাসে এ নিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে বজ্রপাতে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। বছরের এ সময়টিতে বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে বজ্রপাতও হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাওহিদা রশিদ বলছেন বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক আছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই তাপমাত্রা বেড়েছে এবং এর কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশে দশমিক ৭৪ শতাংশ তাপমাত্রা বেড়েছে।
ঝড় একটি প্রাকৃতিক বিষয় এবং এটি হবেই।কিন্তু এতে প্রাণহানি কমানোর সুযোগ আছে।
তাওহিদা রশিদ বলেন, প্রতিটি দুর্যোগে একটি নির্দিষ্ট সময় আছে এবং সে সম্পর্কে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করা উচিত। বাইরে থাকলে যখন দেখা যাবে আকাশ কালো হয়ে আসছে তখনি নিরাপদ জায়গায় যেতে হবে। এ সময়টিতে অন্তত আধঘণ্টা সময় পাওয়া যায়।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য তালগাছের মতো গাছগুলো রোপণ করা উচিত খোলা মাঠে, তাহলেই এটি বেশি কাজে দেবে। কিন্তু কিছু প্রকল্পের অধীনে সেগুলো লাগানো হচ্ছে রাস্তার পাশে। এর ফলে বজ্রপাত মানুষ বা গাড়ির ওপরই পড়বে।
২০১৭ সালে বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানোর জন্য দেশব্যাপী ১০ লাখ তালগাছ রোপন করা হয়েছিল। গত বছর বাংলাদেশে বজ্রপাতে প্রায় ২০০ মানুষ মারা যায়। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হাওর অঞ্চলের নয়টি জেলায়।
তিনি বলেন ঘন বনও বজ্রপাতের জন্য ভালো। কারণ এটি তাপমাত্রাও কমায়। গ্রামে ছোট ছোট গাছের ঝোপ থাকলে লোকজন সেখানেও আশ্রয় নিতে পারে।
Posted ২:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০২ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta