কক্সবাংলা ডটকম(৪ ডিসেম্বর) :: বাংলাদেশে এসে পৌঁছল মার্কিন আকাশযান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’। গভীর রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে এটি।
আমেরিকার সিয়াটলের এভারেট থেকে কোনও যাত্রাবিরতি ছাড়াই টানা ১৫ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় এসে পৌঁছয় হংসবলাকা। বাংলাদেশের পতাকাবাহী এয়ারলাইনসের আরেকটি ড্রিমলাইনার ফ্লাইট বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ২৯ নভেম্বর সকালে সিয়াটলের এভারেটে চাবি দিয়ে হংসবলাকার মালিকানা হস্তান্তর করে বোয়িং। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল এটি বুঝে নেন। সেই সময় ছিলেন বোয়িংয়ের ডেলিভারি কন্ট্রাক্ট জন বর্বার সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এর মধ্য দিয়ে বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫টি।
বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’ গত ১৯ আগস্ট আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসে। এর প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পছন্দে ড্রিমলাইনারগুলোর নামকরণ হয়েছে।
২০০৮ সালে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এরই অংশ হিসেবে বহরে যুক্ত হয়েছে ৬টি বিমান ও দুটি ড্রিমলাইনার।
বাকি আছে কেবল দুটি ড্রিমলাইনার। এগুলোর নাম ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’। এ দুটি ড্রিমলাইনার আসবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে।
ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা মোট ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীদের জন্য আরামদায়কভাবে বিশ্রামের জন্য সহায়ক। বিমান জানিয়েছে, ড্রিমলাইনার ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। এই আকাশযান চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এছাড়া মোবাইল ফোনে রোমিং সুবিধা থাকলে আকাশে উড্ডয়নের সময় কল করা যাবে। এজন্য ২৫টি স্যাটেলাইটের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।
Posted ২:২৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta