কক্সবাংলা ডটকম(১২ সেপ্টেম্বর) :: জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে নিউ ইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-এর বৈঠকের কথা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছি। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সম্পর্কের যোগাযোগ শুরু হয় জুলাইয়ে, যখন পম্পেও-এর আমন্ত্রণে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটন যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।’
তিনি বলেন, ‘আসন্ন বৈঠকটি এর ধারবাহিকতারই অংশ। কারণ উষ্ণ সম্পর্ক থাকলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।’
রোহিঙ্গা, বাণিজ্য ও অন্যান্য ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সমর্থন প্রয়োজন হবে ঢাকার। আবার যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ মেয়াদি ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে পাশে চায় দেশটি।
এ প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিটি সম্পর্কে মিল ও অমিল থাকে। কিন্তু দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।’
অন্য আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই আমাদের সমর্থন দিয়ে আসছে। এটিকে আরও সংহত করতে চাই। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম বৃহৎ রফতানি বাজার। এই বাণিজ্যিক সম্পর্কও আরও বাড়াতে চাই।’
বাংলাদেশে জ্বালানি, বিমান ও অন্যান্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা করার আগ্রহ রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি জানান, এছাড়া ১৬ কোটি মানুষের বাজার বাংলাদেশে আরও পণ্য পাঠাতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানি না। যখন আমরা এ বিষয়ে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবো। তখন এটি নিয়ে চিন্তা করবো।’
Posted ১:২৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta