সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্প ২০০৭ সালের। নানা পর্যালোচনার পর ২০১২ সালে এটির নির্মাণ কাজ পায় আইসোলাক্স এবং স্যামসাংয়ের যৌথ কোম্পানি।
তবে নির্মাণ শুরুর কয়েক মাস পরই, কাজ ফেলে চলে যায় কোম্পানিটি। পরে স্যামস্যাংয়ের সাথে সমঝোতা করে সরকার।
প্রথম থেকে হিসাব করলে, ৭ বছর পর উৎপাদনে আসলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এর নির্মাণ ব্যয় ৩ হাজার ৯শ ৭১ কোটি টাকার বেশি। যার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকাই ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
ইজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অরুণ কুমার সাহা বলেন, দেরিতে উৎপাদনে আসলেও প্রকল্প ব্যয় বাড়েনি। তবে কেন্দ্রটি আগে চালু হলে দেশের উপকার হতো।
প্রকল্প চলাকালীন সময়েই এই কেন্দ্রটির ব্যয় পর্যালোচনা করে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ। তাদের মতে, এই কেন্দ্রে প্রতি কিলোওয়াটে খরচ হচ্ছে ৯৬১ ডলার।
সেই হিসাবে বিশ্বে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে এর নির্মাণ ব্যয় সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যুক্তরাষ্ট্রের একটি কেন্দ্র। আর তৃতীয়টির অবস্থান পাকিস্তানে।
কেন্দ্রটি পরিদর্শনে গিয়ে এ নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জ্বালানি সাশ্রয়ী। নির্মাণ ব্যয় বেশি হলেও কম দামে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে এখান থেকে।
অন্যদিকে কেন্দ্রটি ঠিকমতো গ্যাস পাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। তেমনটা ঘটলে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এর ভূমিকা হয়ে পড়বে আরও গৌন।