কক্সবাংলা ডটকম(২৯ অক্টোবর) :: ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়,- এ হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি। তবে, নানা বাস্তব কারণে সবসময় সেটা সম্ভব হয় না। কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা ইসরাইল এবং প্যালেস্টাইন ইস্যুতে পশ্চিমা অনেক দেশ যখন সেই ইসরাইলের পক্ষ নেয়, তখন বাংলাদেশকেও একটা অবস্থান নিতে হয়। এটা কিছুটা দূরের বিষয় হলেও কখনো কখনো বাধ্য হয়েও শত্রু-মিত্র প্রকাশ্য করতে হয় বাংলাদেশকে। যেমন এখন উড়ে এসে জুড়ে বসা রোহিঙ্গা ইস্যুতে।
গত আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করার পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে থাকলে বিশ্ব রাজনীতিতে এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে তোলপাড় শুরু হয় তাতে বাংলাদেশকে সতর্কভাবে পথ হাঁটতে হচ্ছে। একদিকে মিয়ানমার এবং তাকে সমর্থন করা চীন ও রাশিয়া এবং অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
নিকটতম প্রতিবেশী ভারত দু’ দিকেই তার সমর্থন রাখার জন্য বিষয়টি বাংলাদেশের কূটনীতির জন্য আরো জটিল এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ কখনোই এরকম কূটনৈতিক জটিলতার মধ্যে পড়েনি। বিশেষ করে একদিকে যখন রাশিয়া এবং অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র।
দু’ দিকেই গভীর বন্ধুত্ব রাখা বাংলাদেশের জন্য এরকম জটিল সময়ের মধ্যে জোরেশোরেই আলোচিত একটি বিষয়: বাংলাদেশের কূটনীতি কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রমুখি নাকি রাশিয়া?
অবস্থা যাই হোক, বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের জন্য দুটি দেশই সমান গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিবাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আর অন্যদিকে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে সহযোগিতার হাত ধরে বাংলাদেশ অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে রাশিয়ার উপর। তারা বলছেন, বিশ্বের মহাপরাক্রমশালী এই দুটি দেশের প্রতি বাংলাদেশের নির্ভরশীলতার জায়গাও কম নয়।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করলে বেশ কিছু বিষয় সামনে উঠে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরে বাংলাদেশের নির্ভরতার জায়গা অনেক আগে থেকেই। যদিও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন বাংলাদেশকে সমর্থন দেননি। কিন্তু বাংলাদেশের পাশেই ছিল মার্কিন জনগণ। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্পর্ক গভীরতর হয়।
বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের জন্য বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রও যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশের পক্ষে।
বাংলাদেশে বেশ কিছু পণ্য রপ্তানিও করে থাকে আমেরিকা। প্রধান আমেরিকান রপ্তানি দ্রব্য হলো কৃষিজ দ্রব্য, এয়ারক্র্যাফট, মেশিনারি, ইঞ্জিন, লোহা ও স্টিল সামগ্রী। অন্যদিকে তারা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে পোশাক, ফুটওয়্যার, বস্ত্র, খেলনা, গেইম ও খেলার সামগ্রী, গলদা ও বাগদা চিংড়ি।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কৌশলগত সামরিক মিত্রও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ বাহিনী সোয়াডস গঠনে আমেরিকার ও দক্ষিণ কোরীয় বিশেষ বাহিনীর নকশানুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম অবদানকারী। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণের অন্যতম সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৩,৮২৮ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছিল। চার বছরের ব্যবধানে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে বহুগুণে। সাংস্কৃতিক দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অনেক।
সবচেয়ে বড় বিষয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু।
বাংলাদেশ ও রাশিয়া
রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ইতিহাস অনেক পুরনো। অস্ত্র ও রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহযোগিতা চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলা-রুশ মৈত্রীর নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় চীন যখন সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা যুগিয়েছে হানাদার পাকিস্তানকে আর কূটনৈতিক বিশ্বে পাকিস্তানের পক্ষে যখন তৎপর ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তখন বাংলাদেশের পাশে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগরে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের আগমন ঠেকিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়কে ত্বরান্বিত করার পথ সুগম করেছিল রাশিয়া।
স্বাধীনতার পর রশিয়ার নৌবাহিনীর সৈনিক ও বিশেষজ্ঞরা চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইনমুক্ত করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। রাশিয়ার সাথে সহযোগিতার আরো বিস্তৃতি ঘটতে পারতো। কিন্তু ৭৫ এর পটপরিবর্তনের পর রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে।
রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের অস্ত্র চুক্তি হয়েছে ৫ বছরের জন্য এক বিলিয়ন বা ১০০০ মিলিয়ন ডলারের। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের আরেকটি আলোচিত চুক্তি হয়েছে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে। রাশিয়ান দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ২০২০ সালের আগেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বঙ্গোপসারের বিশাল এলাকায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগামীতে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব হবে অপরিসীম। সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় রাশিয়ার রয়েছে বহু শতকের অভিজ্ঞতা। রাশিয়ার এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেলের গুরুত্ব বাংলাদেশেও বাড়বে। রেলের উন্নয়ন, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও রাশিয়া দক্ষ। রাশিয়া সহায়তা করতে পারে এ ক্ষেত্রেও। গ্যাস উত্তোলনে এরইমধ্যে সহযোগিতা শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও রয়েছে আরো অনেক সম্ভাবনা।
বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র:
রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের বাজার। কিন্তু এ বাজারটি রপ্তানীকারকদের কাছে খুব পরিচিত নয়। বাংলাদেশের পোষাকের কয়েক বিলিয়ন ডলারের মার্কেট হতে পারে ওই বাজার। শুধু রপ্তানীকারক নয়, বাংলাদেশের আমদানীকারকদের জন্য রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ হতে পারে চমৎকার উৎস। গম, তুলা, কাপড়, সূতা, চিনি, সার, শিল্পজাত পণ্য, বিভিন্ন রাসায়নিক ও খনিজ সামগ্রী বাংলাদেশকে জোগান দিতে পারে ওই অঞ্চল।
বিশেষজ্ঞ মত
এমন বাস্তবতা আর বিপরীতে রোহিঙ্গা সংকটকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে কৌশলী পথ নিতে হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য, কিছু ক্ষেত্রে বন্ধুদের কাছ থেকে উপযুক্ত সমর্থন না পাওয়ার কারণে প্রশ্ন উঠেছে: বাংলাদেশ কার বেশি ঘনিষ্ঠ? রাশিয়ার? নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের?
কূটনৈতিক প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন: বাংলাদেশ মূলত এখন কোনোমুখিই না। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মূলত অর্থনৈতিক সম্পর্ক। তারা আমাদের রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র করে দিচ্ছে, তাদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র কিনছি। আর আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র। সুতরাং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেই হচ্ছে।
‘সেকারণেই বাংলাদেশ কাউকে রাখছেও না, কাউকে ফেলছেও না।’
তিনি বলেন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে বেশি সহায়তা দেখাচ্ছে। দুটি দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক হচ্ছে ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ। বাংলাদেশ চেষ্টা করছে রাশিয়ার সমর্থন পেতে আর আমেরিকার সঙ্গে তো আছেই। রোহিঙ্গা ইস্যুটা আসার পরে বাংলাদেশ আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কটা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আশেকা ইরশাদও ব্যাখ্যা করেন সেই বিষয়টাই।
তিনি বলেন: পররাষ্ট্রনীতির একটা ঐতিহাসিক পটভূমি থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিশ্ব ছিলো বাইপোলার ওয়ার্ল্ড। সেখানে দেখা যেত একপক্ষ যেটাতে সমর্থন করে অন্যপক্ষ সেটাতে বিরোধিতা করছে। সেই সময়ে রাশিয়া আমাদের সমর্থন দিয়েছিল, কিন্তু আমেরিকা আমাদের সেই সমর্থনটা দেয়নি যদিও সেখানকার জনগণ দিয়েছিল।
‘৭৩ এর পরে যখন পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আসে তারপর থেকে রাশিয়া থেকে আমেরিকার উপর নির্ভরশীলতা বাড়ে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যিনি থাকেন তাকেও বেশ কিছু বিষয়ে জোরালো অবস্থান নিতে দেখেছি আমরা। ট্রাম্পের প্রশাসন রোহিঙ্গা বিষয়ে একটি স্পস্ট অবস্থান রেখেছে।’
অন্যদিকে, তিনি বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন এলেও সেটা ৯০ ডিগ্রির মতো নয়। রাশিয়া খুব স্পষ্টভাবে নিজের পররাষ্ট্রনীতিকে ফলো করে। রাশিয়া তাদের জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে। হিউম্যান রাইটস নিয়ে তারা যেভাবে রিঅ্যাকশন করবে, চায়না ও রাশিয়া নিয়ে তারা সেভাবে রিঅ্যাক্ট করবে না।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির মনে করেন, বাংলাদেশকে আসলে কোনো মুখি হওয়ার দরকার নেই।
‘আমরা সবার সঙ্গে কাজ করবো ও সম্পর্ক রাখবো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুটি দেশই নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ও তাদের ভেটো ক্ষমতা আছে। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমার বাহিনীর নিন্দা করার বিষয়ে যেকোন দেশকেই আমাদের দিকে আনতে পারা উচিত। আমরা বোঝাতে পারলে তারা আমাদের সমর্থনে আসবে। এছাড়া আর কোনো পথ নেই।’
তিনি বলেন: আমাদের এখানে একজনকে বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান বিবেচনা করে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা খুবই শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে। এভাবে রাশিয়াকে বোঝাতে পারলে তাদের সমর্খন পাওয়াও খুব কঠিন হবে না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়্যারম্যান ড. অরুণ কুমার গোস্বামী ব্যাখ্যা করেন এভাবে:
দুই দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের সম্পর্ক। রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকার সময়ে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়েছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করেছে। পরবর্তীকালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেষ্টায় আছে। বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা রয়েছে।
‘আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন: বাংলাদেশের সঙ্গে যে নীতি, আমেরিকার দৃষ্টিতে বাংলাদেশ হচ্ছে মডারেট মুসলিম কান্ট্রি। জিএসপি নিয়েও বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে একটি বিরোধ আছে। রানা প্লাজার ধসের পর থেকেই জিএসপি বাতিল করে দেয় আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক আছে।
‘আবার রাশিয়ার সঙ্গেও বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক। সবদিক বিবেচনা করেই বাংলাদেশকে দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।’
Posted ৬:০২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta