কক্সবাংলা ডটকম(২৭ জুলাই) :: গায়নায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেই সিরিজ জয়ের সুযোগ এসে ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেষ ওভারে ৫ উইকেট হাতে নিয়েও ৬ বলে মাত্র ৮ রানের সহজ হিসাবটা মেলাতে পারেনি টাইগাররা।
৩ রানে হেরে শেষ ম্যাচটিকে নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত করার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি মর্তুজারা। এ জয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতায় ফেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আর তাই দুই দলের জন্যই তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি উন্নীত হয়েছে ফাইনালের মর্যাদায়। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের ওয়ার্নার পার্কে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের এ মাঠে বাংলাদেশের রয়েছে অম্ল-মধুর স্মৃতি। ২০১৪ সালের সফরে এ ভেনুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৯১ রানের ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। এর আগে ২০০৯ সালে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ের সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ সামনে রেখে একই ফ্লাইটে গায়ানা থেকে গতকাল সন্ধ্যায় সেন্ট কিটসে পৌঁছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ দল। প্রস্তুতি নেয়ার খুব বেশি সুযোগ নেই। টাইগারদের জন্য ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। বাংলাদেশ রাত ১২টায় অনুশীলনের কথা ছিল।
সেন্ট কিটসে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭টি। এখানে স্বাগতিক দলের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। এই ভেনুতে ১০ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের জয় চারটিতে। এখানে স্বাগতিকরা সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে ২০১৬ সালের জুনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওই ম্যাচে ১৩৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল তারা। এখানে সফরকারী দলগুলোর জয়ের পাল্লা ভারী হওয়ায় মানসিক একটা স্বস্তি পেতেই পারে বাংলাদেশ শিবির। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর বড় একটা সুযোগ মাশরাফি ও তার সহযোদ্ধাদের সামনে।
এমন ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচের আগে মাশরাফিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে ম্যাচ শেষ করে আসাটা। বাংলাদেশ শেষ ওভারের চোকার্স কিনা উঠছে এমন প্রশ্নও। জয় জয় অবস্থানে থেকেও গত কয়েক বছরে কমপক্ষে পাঁচটি ম্যাচে শেষ ওভারে হেরেছে টাইগাররা। এমনকি উইকেটে দুজন সেট ব্যাটসম্যান থাকার পরও বলের সমান রানের চ্যালেঞ্জও নিতে পারছে না বাংলাদেশ। চাপের মুখে স্নায়ুযুদ্ধে হারতে হচ্ছে টাইগারদের। আজ স্নায়ুর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ারও লড়াই মাশরাফিদের।
এদিকে গত দুই বছর এ মাঠে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। এর মধ্যে এ মাঠে বেশকিছু সংস্কারকাজ হয়েছে। আগের উইকেটের মাটি সরিয়ে নতুন মাটি দিয়ে উইকেট তৈরি করা হয়েছে। নিয়োগ দেয়া হয়েছে নতুন কিউরেটরকে। ফলে সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে এ নতুন উইকেটও হয়ে উঠতে পারে প্রভাবক। যদিও গায়নায় আগের দুটি ম্যাচের উইকেট ছিল অনেকটা টার্নিং ও স্লো।
দুটি ম্যাচেই রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘ সময় উইকেটে থেকে রান করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। তবে ঐতিহ্যগতভাবেই সেন্ট কিটসের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব। এ মাঠে এখন পর্যন্ত আগে ব্যাট করা দল তিন শতাধিক রানের ইনিংস গড়েছে সাতবার।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) নিয়মিত খেলার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভেনু সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। এ মাঠ সম্পর্কে তার ভাষ্য, ‘সেন্ট কিটসের উইকেট ভালো। ব্যাটসম্যানরা এখানে ভালো রান পান। তাই ক্রিস গেইল, এভিন লুইসকে দ্রুত ফেরানোটা খুব জরুরি।’
