কক্সবাংলা ডটকম(১৫ জুন) :: প্রথম দিনটা যদি রুশদের হয় তাহলে দ্বিতীয় দিনটা অবশ্যই তিকিতাকা জ্যামিতি বনাম পর্তুগিজ ছন্দের৷

শুক্রবার বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা খেলাটি হতে চলেছে৷ প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও অন্যতম হট ফেভারিট পর্তুগালের লড়াইয়ে কারা করবে বাজিমাত? তা নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ৷ আর দুই ইউরোপীয় শক্তির দুরন্ত যুদ্ধ দেখতে মুখিয়ে সারা দুনিয়া৷

শুক্রবারেই অপর গুরুত্বপূর্ণ খেলায় লাতিন আমেরিকার ফুটবল শিল্প নিয়ে মাঠে নামছে উরুগুয়ে৷ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আফ্রিকার আরও এক শক্তি মিশর৷ ধারেভারে এগিয়ে অবশ্যই উরুগুয়ে৷ লড়াই দিতে প্রস্তুত মিশর৷ এই ম্যাচেই দুই প্রাচীন সভ্যতার মানুষ একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছেন৷

মায়া-ইনকা সভ্যতার ছোঁয়া পাওয়া উরুগুয়ে দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন৷ আর নীলনদের আশীর্বাদ ধন্য সুপ্রাচীন মিশর আগে বিশ্বকাপ খেলেছে৷ তাই লড়াইটা একতরফা হতে চলেছে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের৷

এশিয়ার আরও এক শক্তি ইরান নামছে শুক্রবার৷ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আফ্রিকার দেশ মরক্কো৷ দুটি দেশই আগে বিশ্বকাপ খেলেছে৷ তবে ধারেভারে এগিয়ে ইরান, তাদের ফিফা ব়্যাংকিং ৩৭ ও মরক্কো রয়েছে ৪১ নম্বর স্থানে৷

বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই এগিয়ে গেল ইউরোপ৷ থমকে গেল এশিয়া৷ রাশিয়ার কাছে ৫-০ গোলে পরাজিত হল সৌদি আরব৷ মাঠ জুড়ে শুধুই রুশ দৈত্যের দাপাদাপি৷ আর তাতেই কুঁকড়ে গিয়েছে সবুজ বাজপাখিরা৷

ফিফা তালিকায় খুব একটা পিছিয়ে নেই দু’টো দল৷ তবুও লড়াই একতরফা হয়েছে৷ প্রথমার্ধের কিছু সময় আক্রমণে গিয়েছিল সৌদি আরব৷ গ্যালারিতে বসে হাসি হাসি মুখে সব দেখছিলেন আরব যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন৷ প্রথম গোলটি হতেই তিনি মুষড়ে পড়েন৷

পাশে বসা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রটোকল মেনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ না-করলেও তাঁর চোখে উল্লাস ধরা পড়েছে৷ সেই মুহূর্তেই দুই রাষ্ট্রনেতা একে অপরের হাত মিলিয়ে নিলেন৷ দু’জনের মাঝে বসা ফিফা প্রেসিডেন্ট কী করবেন ঠিক বুঝে উঠতে পারলেন না৷

রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ দেখার আমন্ত্রণে এসেছেন সৌদি যুবরাজ৷ তিনিই সে দেশের আগামী বাদশা৷ বিশ্বকাপের আসরের মাঝেই তাঁর সঙ্গে রাশিয়ার বিশেষ কূটনৈতিক বৈঠকের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব রাজনীতি৷ কারণ এই বৈঠকেই পেট্রোলিয়াম উত্তোলন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সৌদি আরব৷

এতে রাশিয়ার সঙ্গে যে চুক্তি হচ্ছে, তাতে খনিজ তেল উৎপাদন আরও বাড়িয়ে নিতে রাজি সৌদি আরব৷ এর জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে ঝড় উঠতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷