কক্সবাংলা ডটকম(২০ অক্টোবর) :: দূষণ মৃত্যুর জরিপে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এর পরেই সমান সংখ্যক মৃত্যুর হার নিয়ে ২য় স্থানে রয়েছে সোমালিয়া। প্রতিবেশি দেশ ভারতের অবস্থান ৫ম। আর বিপরীতে সর্বনিম্ন মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে। দূষণের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন সংক্রামক রোগ হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে এসব মৃত্যু ঘটেছে বলে বিবিসি থেকে জানা গেছে।
মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেট কমিশন অন পপুলেশন অ্যান্ড হেলথের এক গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী ৯০০ কোটি মানুষের মৃত্যু সঙ্গে দূষণের সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রবীন এই মেডিক্যাল জার্নালের প্রতিবেদন বলছে, কম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে দূষণের পরিমাণ এক চর্তুথাংশেরও বেশি।
প্রায় ৯২ শতাংশ দূষণ মৃত্যু দরিদ্র দেশগুলিতে ঘটেছে। যা খুব দ্রুত তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভাব রেখেছে। দুই তৃতীয়াংশ মৃত্যুর জন্য বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল। সর্বোচ্চ দূষণ মৃত্যুর মধ্যে প্রতিবেশি দেশ ভারতের অবস্থান ৫ম এবং চীনের অবস্থান ১৬তম। সর্বনিম্ন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ব্রুনাই এবং সুইডেন।
নিউইয়র্ক মাউন্ট সিনাইয়েরর আইকান স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক ফিলিপ ল্যান্ডরিগন বলেন, ‘পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের তুলনায় দূষণ অনেক বেশি। এটি একটি গভীর এবং ব্যাপক হুমকি। যা মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের অনেক দিককে প্রভাবিত করে’।
সবচেয়ে বড় ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ু দূষণ। যা পরিণাম ৬ লাখ ৫ হাজার অকাল মৃত্যু। এর মধ্যে রয়েছে কাঠ পোড়ানো, গ্যাসের মত বহিরাগত উত্স থেকে দূষণ।
এরপর বৃহত্তম ঝুঁকির কারণ পানি দূষণ। যা ১ লাখ ৮ হাজার মৃত্যুর জন্য দায়ী। যেখানে কর্মক্ষেত্রে দূষণ বিশ্বব্যাপী ৮ লাখ মৃত্যুর সাথে সংযুক্ত। যুক্তরাজ্যে দূষণে মৃত্যুর হার ৮ শতাংশ বা ৫০ হাজার। ১৮৮টি দেশের মধ্যে দেশটির অবস্থান ৫৫তম। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, ডেনমার্ক থেকে অনেক পেছনে।
ব্রিটিশ লং ফাউন্ডেশনের ড্যানি পেনি উডস বলেন, ‘বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী সঙ্কট বিন্দুতে পৌঁছেছে । যুক্তরাজ্যের পশ্চিমা ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহু দেশের চেয়ে খারাপ অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এসবের জন্য দায়ী বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যানবাহনের নির্ভরতা উপাদান ডিজেল। এর বিষাক্ত কণা এবং গ্যাস উচ্চ পরিমাণ ধোঁয়া নির্গত করার জন্য কুখ্যাত। যা মারাত্মকভাবে শিশু এবং বয়স্কদের ফুসফুসের প্রচণ্ড ক্ষতি করে।’
ল্যানসেটের ওই গবেষণায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘দূষণ মৌলিক মানবাধিকারের হুমকিস্বরূপ। বাঁচার অধিকার, স্বাস্থ্য, কল্যাণ, নিরাপদ কাজের পাশাপাশি শিশুদের সুরক্ষা এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।’
Posted ৬:৩৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta