ট্রাম্প বলেছেন, তারা যদি কাজের ধারা পরিবর্তন না করে তাহলে আমি ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন থেকে নাম প্রত্যাহার করবো।
বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম নির্ধারণ করা ও সেসব নিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের সমাধান করার উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছিল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। তবে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতির সমর্থক ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে, এমন অভিযোগও তুলেছেন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইথিযার। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতির সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প।
গত কয়েকমাসে অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্য বিষয়ক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। সবচেয়ে বেশী আলোড়ন তুলেছে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুইটি অর্থনৈতিক শক্তি বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মাধ্যমেই আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়মগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সেসব নিয়মের ব্যতিক্রম হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করা ও বাণিজ্য নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আন্তঃদেশীয় দ্বন্দ্বের মীমাংসা করা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।