২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য সিনেটে গত সপ্তাহে পাস হওয়া ওই বিলের নাম: ‘দ্য ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ)’। এবার নতুন করে এ প্রস্তাব এনেছিলেন ভারতবিষয়ক কংগ্রেস কমিটি সিনেটর জন ক্রনিন ও সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার। বিলটি এবার প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে হবে। ন্যাটো জোটের সদস্য হলে সামরিক ক্ষেত্রে অস্ত্র কেনায় বিশেষ সুবিধা পাবে ভারত। আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসা আরও বাড়বে। ভারত-মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সদস্য হলে চীন ও পাকিস্তানের কাছেও কড়া বার্তা যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ন্যাটো মিত্র ছাড়াও ইসরাইল, দক্ষিণ কোরিয়ার মতোই আমেরিকার কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাবে ভারত। সন্ত্রাসবাদ, জলদস্যুতা প্রতিরোধ, ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তাসহ একাধিক বিষয়ে ন্যাটোর সুবিধা মিলবে। বিশেষ করে পাকিস্তানকে আরও কড়া সন্ত্রাসবিরোধী বার্তা দিতে সমর্থ হবে ভারত। প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অ্যামি বেরা, রাজা কৃষ্ণমূর্তি, তুলসী গাবার্ডের মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূত কংগ্রেস সদস্যরা হাউসে এ বিলটি পাস হওয়া নিয়ে আশাবাদী।
২৯ জুলাই হাউসের অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই তোলা হবে বিলটি। এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা ভারত। এর আগেও হাউসে বিলটি তোলা হয়েছিল। সে সময় বিলটির প্রস্তাব করেন ইন্ডিয়া ককাসের কো-চেয়ার ব্র্যাড শেরম্যান। তাকে সমর্থন করেছিলেন কংগ্রেসের ৬ সদস্য। জো উইলসন, অ্যামি বেরা, টেড ইয়োহো, জর্জ হোল্ডিং, এড কেস ও রাজা কৃষ্ণমূর্তি। কিন্তু প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় বিলটি পাস হয়নি। ২০১৬ সালে ভারতকে ‘মেজর ডিফেন্স পার্টনার’ হিসেবে ঘোষিত করে আমেরিকা।
ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ক্রয়ে অগ্রাধিকার পেয়েছে নয়াদিল্লি। এ বিল পাস হলে আমেরিকার আরও ঘনিষ্ঠ বৃত্তে চলে আসবে ভারত। বিলটি সিনেটে পাস হওয়ার ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সমীর কালরা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯৪৯ সালে ১২ দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ন্যাটোর। পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালিকে নিয়ে এ জোটের মোট সদস্য এখন ২৯। ২০১৭ সালে সর্বশেষ ন্যাটো জোটে শামিল হয় মন্টিনিগ্রো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশে-মহাদেশে শুরু হয় ক্ষমতার লড়াই। এ বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় পুঁজিবাদী যুক্তরাষ্ট্র এবং সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়ার আধিপত্য। প্রতিদ্বন্দ্বী সোভিয়েত ইউনিয়নকে থামানোর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে গড়ে ওঠে ন্যাটো।