কক্সবাংলা ডটকম(১৫ ডিসেম্বর) :: ভারতীয় নৌসেনার নয়া সদস্য হিসেবে যোগ দিল আইএনএস কালভারি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে জলে পাড়ি দিল এই রণতরী। এটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র উদাহরণও বটে। মুম্বইয়ের ম্যাজাগন ডক লিমিটেড তৈরি করেছে এটি। এই সাবমেরিন সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন:
১. এটি ভারতীয় নৌসেনার প্রথম সাবমেরিন, যাতে থাকছে এয়ার ইনডিপেন্ডেন্ট প্রপালসান। অর্থাৎ, এটি চালানোর জন্য পরিবেশ থেকে কোনও অক্সিজেন নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ফলে আরও বেশি সময় ধরে এটি জলের তলয় থাকতে পারবে আর শত্রুরা কোনোভাবেই এটিকে চিহ্নিত করতে পারবে না।
২. এটি একটি অ্যাটাক সাবমেরিন। এতে ১৮টি টর্পেডো বহনের ক্ষমতা রয়েছে। ডিআরডিও-এর জন্য বিশেষ ধরনের টর্পেডো তৈরি করেছে, যার নাম ‘বরুণাস্ত্র’। এর ওজন হবে ১৫০০ কেজি। আট মিটার লম্বা টর্পেডোগুলির রেঞ্জ ৪০ কিলোমিটার। এটি এয়ারক্রাফট কেরিয়ার ধ্বংস করতেও সক্ষম।
৩. কালভারিতে থাকছে ১৮টি অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, যা ১৮০ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে থাকা যে কোনও শত্রু জাহাজকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এই মিসাইল গুলি ফাইনাল টার্গেটে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত শত্রুপক্ষের নজরে আসবে না।
৪. নিউক্লিয়ার সাবমেরিনেও একটা বিশেষ শব্দ হয়। কিন্তু আইএনএস কালভারির এয়ার ইনডিপেন্ডেন্ট প্রপালসান সিস্টেম থাকায় ২১ দিন পর্যন্ত এটি নিঃশব্দে বিচরণ করতে পারবে সমুদ্রের তলায়।
৫. জলের উপর ভেসে থাকা অবস্থায় এই সাবমেরিনের রেঞ্জ ১২০০০ কিলোমিটার আর জলের তলায় ১০০০ কিলোমিটার। সুতরাং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নজরদারি চালাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
৬. পুরোপুরিভাবে ডুবে থাকা অবস্থায় এই সাবমেরিনের রেঞ্জ ৩৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
৭. এটি ৩৫০ মিটার পর্যন্ত গভীরে যেতে পারে।
Posted ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta