কক্সবাংলা ডটকম(১২ অক্টোবর) :: কর্মসূচির প্রাথমিক বাধা কাটিয়ে উঠে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যাণ্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশান (ডিআরডিও) শুক্রবার রুস্তম-২ মিডিয়াম অলটিটিউড লং এনডিউরেন্স প্রটোটাইপ ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে।
নিজস্বভাবে তৈরি ড্রোনটি এ সময় কর্নাটকের ছিত্রাদুর্গা এলাকায় ১৬০০০ ফুট উঁচুতে আট ঘন্টা ধরে উড়তে সক্ষম হয়।
আশা করা হচ্ছে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ এটা ২৬০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে পারবে এবং ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত আকাশে ভাসতে পারবে।
রুস্তম-২ অভিযানের ধরনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকম বোমা বহন করতে সক্ষম। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাপারচার রাডার, ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমস ও সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস সিস্টেম। এতে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশান লিঙ্ক রয়েছে, যেটা রিয়েল টাইম যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে পারে।
এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “রুস্তম-২ আট ঘন্টা ওড়ার পরও এতে এক ঘন্টার জ্বালানি অতিরিক্ত ছিল। এটা পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে”।
ডিআরডিও আশা করছে যে, রুস্তম-২ নজরদারি ড্রোন ইসরাইলি হেরোন ড্রোনের বৈশিষ্ট্যগুলোর সমপর্যায়ের হবে, যেটা ভারতীয় বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী এখন ব্যবহার করছে। তবে নিজেদের ড্রোন কর্মসূচিকে নতুন মিশন ও উদ্দেশ্য দিয়ে সাজিয়েছে তারা।
চীনের পিপলস লিবারেশান আর্মি (পিএলএ) লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা চালানোর পর রুস্তম-২ কর্মসূচির গতি বাড়িয়েছে ভারত। পিএলএ’র বহরে উইং লুং টু সশস্ত্র ড্রোন রয়েছে এবং সিপিইসি করিডোর ও গোয়াদর বন্দরকে রক্ষার জন্য এই জাতীয় চারটি ড্রোন তারা পাকিস্তানকেও দিয়েছে।
রুস্তম-২ ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বহরে যুক্ত হওয়ার আগে যদিও এগুলোকে পরীক্ষামূলক মহড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বর্তমানে ইসরাইলি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রির (আইএআই) সাথে দর কষাকষি করছে যাতে হেরন ড্রোনের বহরকে আপগ্রেড করা যায় এবং এগুলোতে যাতে এয়ার টু সারফেস মিসাইল এবং লেজার গাইডেড বোমা সংযুক্ত করা যায়।
সাউথ ব্লকের কর্মকর্তাদের মতে, হেরন ড্রোনের টেকনিক্যাল আপগ্রেড করা এবং সেগুলোতে অস্ত্র সংযোজনের বিষয়টি ডিফেন্স অ্যাকুইজিশান কমিটি (ডিএসি) অনুমোদন দেয়ার পর সেটি এখন চুক্তি নেগোশিয়েটিং কমিটিতে রয়েছে। নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি এই ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
হেরন আপগ্রেডের মধ্যে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশান লিঙ্ক সংযুক্ত করার বিষয়টাও রয়েছে যাতে যুদ্ধক্ষেত্রের রিয়েল টাইম তথ্য সরবরাহে কোন সীমাবদ্ধতা না থাকে। তাছাড়া এতে মিসাইল ও লেজার গাইডেড বোমা বহনের হন্য ডানায় হার্ড পয়েন্টও স্থাপন করা হবে।
ইসরাইল যদিও তাদের সশস্ত্র ড্রোন কর্মসূচি গোপন রেখেছে, তবে হেরনের অস্ত্র পরিবহন সক্ষমতার বিষয়টি আগে থেকেই প্রমাণিত।
Posted ১:০১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta