কক্সবাংলা ডটকম(১ জুন) :: রাশিয়ার সাথে মিলে সলিড ফুয়েল ডাক্টেড র্যামজেট (এসএফডিআর) তৈরি করেছে ভারত। মিসাইলে এর সফল ব্যবহার করতে পারলে ভারত সেই সীমিত দেশগুলোর একটি হয়ে উঠবে যারা উড়ন্ত টার্গেটের বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রজন্মের মিসাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
ভারতের নতুন সার্ফেস-টু-এয়ার মিসাইলগুলো এসএফডিআর প্রযুক্তি চালিত। যৌথভাবে এগুলো তৈরি করেছে ভারত ও রাশিয়া। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র স্পুটনিককে জানিয়েছে, প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপনের সময় মাচ থ্রি পর্যায়ের গতি অর্জন করেছে এগুলো। এই মিসাইলগুলোকে ফ্রেন্স মেটিওরের ভারতীয় ভার্সন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওরিশ্যা উপকূলের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ ফ্যাসিলিটি থেকে এগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
একটি প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, “এটা ছিল মিসাইলের বুস্টার ফেজ টেস্ট এবং কৌশলগত মিসাইল কর্মসূচির জন্য এটাকে একটা মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। নজল, লেস বুস্টার এবং এসএফডিআরের সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে”।
ডিআরডিও মিসাইলের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর পরীক্ষাও খুব শিগগিরই করবে। ২০১৩ সাল থেকে ২৫০ কেজি ওজনের এই এসএফডিআর মিসাইলের উন্নয়ন চলছে।
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “নতুন প্রযুক্তি সার্ফেস-টু-এয়ার এবং এয়ার-টু-এয়ার উভয় ধরনের মিসাইলের কর্মক্ষমতা ও দূরত্ব বাড়িয়ে দেবে। এতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে মিসাইলগুলো। ভারত এখন দুটো ক্যাটেগরিতে দ্রুততম দূরপাল্লার মিসাইলের মালিক হতে পারবে, যেটা তাদেরকে পূর্ণ বহুমুখী বিমান সুরক্ষা দেবে”।
বর্তমানে যে সব মিসাইল রয়েছে যেগুলোতে কঠিন বা তরল জ্বালানি ব্যবহার করা হয়, এগুলো উড়ন্ত টার্গেট প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট উপযোগী নয়। কারণ উড়ন্ত টার্গেটে আঘাত হানার জন্য যে গতি প্রয়োজন এবং সে জন্য যে পরিমাণ জ্বালানি দরকার, পুরনো মিসাইলগুলোর সে ধারণক্ষমতা নেই। এসএফডিআর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মিসাইলের এই সীমাবদ্ধতা দূর হবে।
Posted ৪:২৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ জুন ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta