কারও নামোল্লেখ না করে বেজিংয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘এই জোটের ফলে যেন তৃতীয় পক্ষের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ না হয় বা তাকে আঘাত করাটাই যেন মূল লক্ষ্য হয়ে না পড়ে।’’

চিনা বিদেশ মন্ত্রকের আশঙ্কা, অন্য দেশগুলির উপর চিনের প্রভাব খর্ব করতে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানকে নিয়ে চার দেশের জোটকে ফের সক্রিয় করে তুলতে চাইছে আমেরিকা।

ম্যানিলায় পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ১৩ নভেম্বর একটি জরুরি বৈঠকে বসছে ভারত, আমেরিকা সহ চার দেশের জোট। এশিয়ার দেশগুলিতে সফরের লক্ষ্যে গত রবিবারই ম্যানিলায় পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় এক দশক পর এই প্রথম বৈঠকে বসছে ওই চার দেশের জোট। চার দেশের জোটের বৈঠকে হাজির থাকার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও।

ম্যানিলায় চার দেশের জোটের আসন্ন বৈঠক উপমহাদেশে শান্তি, সুস্থিতি, সম্প্রীতি, সহযোগিতা, উন্নয়ন, পারস্পরিক আদানপ্রদানের সম্পর্ককে বদলাবে না বা বদলানোর চেষ্টা করবে না বলে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমাদের আশা, চার দেশের জোটের বৈঠক এই অঞ্চলের দেশগুলির পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ককে বরং আরও জোরদার করবে। এই অঞ্চলের দেশগুলির নিরাপত্তাকে আরও আঁটোসাটো করতে সাহায্য করবে।’’

চিনের সরকারি দৈনিক ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লিয়ান দেগুই লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় উপমহাদেশ ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত তেমন কিছু ভূমিকা নিতে পারবে না। কারণ, ভারত এখন তার নিজের অর্থনীতির হাল ফেরাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।’’

তবে চিন যে মূলত উদ্বিগ্ন জাপান ও আমেরিকার সাম্প্রতিক দহরম মহরমে, দেগুইয়ের নিবন্ধেই তার ইঙ্গিত মিলেছে।

দেগুই লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় উপমহাদেশ ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির পরিকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে ওই চার দেশের জোট সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তো ভালই। তাকে সমর্থন করতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ওই দেশগুলি যদি তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিটাকেই মূল লক্ষ্য করে নেয়, তা হলে সেটা চিন্তার বিষয়।’’