এবার মিশন কর্ণাটক৷ হিমাচল প্রদেশ, গুজরাতের পর এবার কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি৷ গেরুয়া ঝড়ে উড়ে যাবে হাত শিবির৷ এই সুরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের আশার কথা শোনালেন রাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মুরলীধর রাও৷

দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ফের মোদী ম্যাজিকের পর এমনই আশা ভাজপার কন্নড় নেতাদের৷কঠিন সংস্কারের পথে হেঁটেও যে সাফল্য এসেছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন রাও৷ ২০১৮ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলেও সেই মোদিই হাতিয়ার হয়ে উঠবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷

গুজরাত নির্বাচনের ফলের দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল, সেই অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ গেরুয়া শিবির৷ আর এই ফলের প্রভাব অবশ্যই পড়বে কর্ণাটকের পরের বছরের নির্বাচনে৷ প্রভাবিত হবেন রাজ্যের মানুষ, আর তার প্রভাব পড়বে ভোট বাক্সে, বলে মত মুরলীধর রাও-এর৷

টানা বাইশ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও ষষ্ঠবারের মতো গুজরাত শাসনের অধিকার অর্জন করেছে বিজেপি। একই সঙ্গে তারা কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে উত্তর ভারতের পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশে। এই রাজ্যে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকারের পরিবর্তন ঘটে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি৷

হিমাচল হারানোর ফলে দেশে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের সংখ্যা দাঁড়াল চারে। কর্ণাটক, পাঞ্জাব, মেঘালয় ও মিজোরাম। পাঞ্জাব ছাড়া বাকি তিন রাজ্যে আগামী বছর ভোট। দেশকে কংগ্রেস-মুক্ত করার যে ডাক নরেন্দ্র মোদী দিয়েছেন, তা ব্যর্থ করাই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী বছর নির্বাচনে কর্ণাটককে কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে নরেন্দ্র মোদী নতুন উদ্যমে নামছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর৷

বিধানসভার আসনের নিরিখে কর্ণাটকই এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, যা কংগ্রেসের হাতে আছে৷ তাই এখানে বিজেপি আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মত মুরলীধর রাও-এর৷

তবে গুজরাত নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের হার বেড়েছে দুই দলেই। কিন্তু কমে গেছে বিজেপির জয়ের মার্জিন। এসব বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতা ধরে রাখলেও এই ভোট বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অনেকগুলো প্রশ্ন রেখে দিচ্ছে। সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে কর্ণাটক নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করলে যে চলবে না, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারা৷