কক্সবাংলা রিপোর্ট :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত চলছে। এর প্রভাবে একমাস না যেতেই ফের অস্বাভাবিক বৃষ্টি দেখলো কক্সবাজার জেলা।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে; যা ওই অঞ্চলে ১৯৪৮ সালের পর সর্বোচ্চ রেকর্ড।
বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার কক্সবাজারে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো জেলায় ২৪ ঘণ্টায় চতুর্থ সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
আর কক্সবাজারের জন্য একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড এটি। এর আগে, ২০১৫ সালে ৪৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল সর্বদক্ষিণের জেলাটিতে।
অতিবৃষ্টি ও ঢলের কারণে পাহাড় ধসে দুই উপজেলায় মারা গেছেন ছয়জন।
এদিকে টানা ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেল পথের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ধসের মাটি পড়ে রেল চলাচল ব্যাহত হয়।
তবে শুক্রবারই মাটি সরিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রেলপথে গাছ ভেঙে পড়েছে। পরে সেটি সরিয়ে নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, টানা ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
এতে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে যায়। পরে মাটি সরানোর পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, ঝড়ো বাতাসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রেল লাইনের ওপরও দু’টি গাছ ভেঙে পড়ে। পরে গাছ দু’টি সরিয়ে ফেলা হয়। এখন দু’টি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
এদিকে, চট্টগ্রামে শনিবার সকাল থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হয়। তবে সকাল ১০টার দিকে হালকা রোদের দেখা মিললেও পরে আবারও আকাশে মেঘ ওঠে।
এর আগে শুক্রবার ভারী বর্ষণে নগরের অনেক নিম্ন এলাকায় পানি ওঠলেও তা নেমে যায়।
Posted ৩:৫০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta