বিশেষ প্রতিনিধি,মহেশখালী(১০ ডিসেম্বর) :: কক্সবাজারের মহেশখালীতে গত ২৩ নভেম্বর ১২ বাহিনীর দুর্ধর্ষ ৯৬ জন জলদস্যু অস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করার ১৭ দিন পর অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। গত সোমবার বিকেল চারটা থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়নের কুমারপাড়া এলাকা থেকে অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ সময় একটি এলজিসহ অস্ত্র তৈরির কারিগর মোহাম্মদ ওলামিয়া ওরফে বুতাইয়াকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ ওলামিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দুটি মামলা আছে। দুই সপ্তাহ আগে তিনি জেল থেকে বেরিয়ে এলাকায় আবারও অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করছিলেন।
তিনি হাতে তৈরি একটি এলজি দুই হাজার টাকা এবং লম্বা বন্দুক পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ওলামিয়া তাঁর ঝুপড়ি ঘরের পাশে উঠানে বসে অস্ত্র তৈরি করছিলেন। তখন এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। অস্ত্র তৈরির সময় হাতেনাতে ওলামিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, একটি এলজি ও তিনটি আংশিক বানানো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ঘটনায় মহেশখালী থানায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ওলামিয়ার তথ্যমতে আজ ভোর চারটা পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তবে তাঁর গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে অবৈধ অস্ত্রের কারিগরেরা পালিয়ে যান।
প্রসঙ্গত গত মাসের ২৩ নভেম্বর মহেশখালী উপজেলার পাহাড়ী ইউনিয়ন কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ১২ বাহিনীর দুর্ধর্ষ ৯৬ জন জলদস্যু,অস্ত্রের কারিগর ও সন্ত্রাসী স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করে। একই সঙ্গে তারা দেশি-বিদেশি ১৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৮৪ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন প্রকার সরাঞ্জামাদী জমা দেয়।
এসময় তারা অতীত কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত এই জলদস্যুরা পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার শপথ নেয়।পরে পুনর্বাসনের জন্য তাদের জনপ্রতি তাৎক্ষনিক ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তাদের হাতে তুলে দেন ফুল। পরে আরো তাদের আরো ৫০ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Posted ১:২৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta