এম রমজান আলী,মহেশখালী(২০ আগস্ট) :: মহেশখালীর কালারমারছড়ার ইউনূছখালীতে অবৈধ কাঠ দিয়ে তৈরী হচ্ছে ফিশিং ট্রলার বনবিভাগ নীরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে তথ্যনিয়ে জানগেছে, ইউনূছখালী এলাকার মৃত হামজা মিয়ার পুত্র নুরুল আলম বহদ্দার বহনাকাটাঁ রুটের পূর্বের সাইডের নতুন ঘোনার ধ্যাইন্যাকাটাঁস্থ অবৈধ কাঠ (সেগুন, তেজশল, জাম ও গজ্জম) গাছের কাঠ দিয়ে তৈরী করে চলেছে ফিশিং ট্রলার বনবিভাগ দেখে ও না দেখার বাহানায় রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ।
১৯ আগষ্ঠ বনবিভাগ (পাহাড়ী র্যান্জ ও প্যারাবন র্যান্জের) ষ্টাফগন অবৈধ কাঠ দিয়ে তৈরী হওয়া ফিশিং ট্রলার পরিদশনে গেছে। নুরুল আলম কর্তৃক অবৈধ কাঠ দিয়ে তৈরী করা ফিশিং ট্রলার কাজে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন রুহুল আমিন, মোহাম্মদ ছিদ্দিক ও মোহাম্মদ জালাল গং।
অভিযুক্ত নুরুল আলম জানান, তৈরী করা ফিশিং ট্রলারের গাছগুলি বনবিভাগের ষ্ঠাফদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে নিয়েছি, তাই কোন প্রশাসন আমাকে কোনভাবে ক্ষতি করতে পারবেনা। এসিএফ মারুফ জানান, অবৈধ কাঠ দিয়ে ফিশিং বোট তৈরী কারী ও সহযোগীদের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের হবে এবং তৈরীরত ফিশিং ট্রলারটি জব্দ করা হবে।
প্যারাবন র্যান্জ কমকর্তা হাবীবুল হক জানান, আমাদের বনবিভাগের ষ্ঠাফগন অবৈধভাবে তৈরীরত ফিশিং ট্রলারটি পরিদশর্নে গিয়েছিল।
কালারমারছড়া বনবিটের দায়িত্বরত কমকর্তা আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি আমি জানিনা আপনি যখন বলেছেন অবৈধ কাঠ দিয়ে ফিশিং ট্রলার তৈরীকারী ও তার সহযোগীদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২০ আগষ্ঠ পুলিশ প্রশাসন অবৈধভাবে তৈরীরত ফিশিং ট্রলার টি সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, মাদার ট্রি কেটে ফিশিং ট্রলার তৈরী করেই যাচ্ছে নুরুল আলম, বনবিভাগ দেখে ও না দেখার বাহানায় রয়েছে কেননা বনবিভাগের ষ্টাফেরা নুরুল আলমের কাছ থেকে মোটা অংকের নিয়েছে। দ্রুতগতিতে নুরুল আলমের বিরোদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন কেননা সে মাদার ট্রি কেটে বনাঞ্চল ধ্বংস করেই যাচ্ছে।
Posted ১২:১০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta