কক্সবাংলা ডটকম :: মাকে হারালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। তার মৃত্যুর খবর নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মা হীরাবেন গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন । বুধবার তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হীরাবেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আহমেদাবাদ উড়ে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী।
বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ মারা যান হীরাবেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী নিজেই মায়ের মৃত্যুর সংবাদ টুইটে জানিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি উড়ে যান আহমেদাবাদে। আজ গান্ধীনগরেই তাঁর মায়ের শেষকৃত্য হওয়ার কথা।
মায়ের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন,’ একটি গৌরবময় শতাব্দী ঈশ্বরের পায়ে বিশ্রাম নিল। মায়ের মধ্যে আমি সর্বদা ত্রিমূর্তিকে অনুভব করেছি, যাঁর মধ্যে একজন তপস্বীর যাত্রা, নিঃস্বার্থ কর্মযোগীর প্রতীক এবং মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জীবন। ‘
১৯২৩ সালে গুজরাতের মেহসানার বিসনগরে জন্মে ছিলেন হীরাবেন। আহমেদাবােদর ইউএন মেহতা কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত বুধবার মাকে দেখতে আহমেদাবাদ উড়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গান্ধীনগরের কাছে রায়সান গ্রামে থাকতেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর মা। গুজরাত সফরে গেলেই তিনি ছুটে যেতেন মায়ের কাছে। গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট দানের সময়ও মায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বুধবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে অবস্থার কিছু উন্নতি হলেও বিকেলের পর থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
এদিকে আজ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বাংলায় আসার কথা ছিল তাঁর। সূত্রের খবর আহমেদাবাদ থেকেই ভার্চুয়ালি রাজ্যের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর রাজ্যে আসা হবে না তাঁর। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি ঘিরে গোটা শহর সেজে উঠেছিল। সাজিয়ে রাখা হয়েছিল হাওড়া স্টেশন। প্রধানমন্ত্রীর হাতেই আজ জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের উদ্বোধন হওয়ার কথা।
প্রয়াত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি। বেশ কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। মায়ের মৃত্যুর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি গত জুন মাসেই ১০০ বছরে পা রেখেছিলেন। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গান্ধীনগরে এসেছিলেন। তিনি মা হীরাবেন মোদির আশীর্বাদ নিয়েছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন।
কয়েকদিন আগেই প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মা। তারপরেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হয়। শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই হীরাবেন মোদিকে আহমেদাবাদের ইউএন মেহতা হাসপাতালের কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁর এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করেন।
মায়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা বারবার ভাগ করে নিয়েছেন মোদি৷ সম্প্রতি মা-ছেলের চা খাওয়ার ভিডিও মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের৷
মাত্র দিন কয়েক আগে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েও মায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
১৮ জুন ১৯২৩-এ তাঁর জন্ম৷ সম্প্রতি শতবর্ষ ছুঁয়েছেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই পঙ্কজ মোদির সঙ্গেই থাকতেন তাঁর মা৷
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের প্রথম জন্মদিনে কোনও নিরাপত্তা ছাড়াই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গান্ধিনগরে যান মোদি।
বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, হীরাবেনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে আচমকা ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এদিন সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন মোদি।
Posted ১২:০১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta