কক্সবাংলা ডটকম(১৭ ডিসেম্বর) :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন মুখে তারা জনগণের কাছে ভোট চাইবে, তারা গণহত্যা করেছে, লুটপাট করেছে, জ্বালাও পোড়াও করেছে, মায়ের সামনে সন্তানকে হত্যা করেছে, স্ত্রীর সামনে স্বামীকে। দেশের বাইরে মানি লন্ডারিংয়ের খবরও পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে, এখন তাদের শপিং মলের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার বিকেলে আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলেন কেন্দ্রে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের পরে যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা পথে বসলো আর যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের ক্ষমতায় বসানো হলো। সেই সময়ে রাষ্ট্রদূত হলো কারা, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনী।
দেশের বাইরে তাহলে দেশের ভাবমুর্তি কোথায় থাকলো? এসব ঘটনা স্বাধীন দেশে বিশ্বাসীরা কিভাবে মেনে নিতে পারে? স্বাধীনতার কথাও বলবেন আবার যুদ্ধাপরাধীর মদদদাতাদের নিয়ে দল গঠন করবে সেটা কিভাবে হতে পারে? আমরা এদেশকে এগিয়ে নিতে যাই আর তারা পেছনে টানে।
প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, তারা আবার স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় যাওয়ার, নির্বাচনে যাওয়ার। দেশের মানুষ যদি উন্নতি চান তাহলে তাদের ভোট দিতে পারে না। যারা সৃষ্টি করে তাদের মায়া থাকে, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের থাকে না। বাংলাদেশকে নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দিবো না, খেলতে পারবে না।
এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর নানান সময়ের কথা টেনে বলেন, ৬৬ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একটার পর একটা মামলা। সোহরাওয়ার্দীতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এখানে দাঁড়িয়েই ১০ জানুয়ারি তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন কিভাবে বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। ১০ জানুয়ারির আগে নানানভাবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধপরবর্তী সময়ে দেখেছি বঙ্গবন্ধুকে সবভাবে সাহায্য করতেন আমার মা। মা বাইরে যেতেন না। কিন্তু বাবার কাজে সবসময় তাকে পাশে দেখেছি। তিনবছর মাত্র সময় পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে চেয়েছিলেন দেশকে গড়ে তুলতে।
Posted ৬:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta