কক্সবাংলা ডটকম(১৩ ফেব্রুয়ারী) :: মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের বিরুদ্ধে ১০ লাখ ডলার অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করেছে দেশটির প্রসিকিউটররা। প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির ঘটনায় বুধবার দায়ের করা এই মামলায় ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার। তবে গত বছর নির্বাচনে পরাজিত হওয়া ইয়ামিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৬ সালে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানের সূত্র ধরে বুধবারের মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়ামিনের মেয়াদকালে দ্বীপ ইজারা দিয়ে মালদ্বীপ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রায় আট কোটি মার্কিন ডলার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেওয়া হয়। এসব অর্থ নগদ উত্তোলন ছাড়াও রাজনীতিবিদদের ঘুষ দেওয়াতেও ব্যবহৃত হয়। গোপনে ধারণকৃত সাক্ষাৎকারে ইয়ামিনের সহযোগিরা তাকে চুরি করা অর্থ হস্তান্তরের কথা স্বীকার করেন। ইয়ামিনের বাসভবনে ওই অর্থ হস্তান্তরে জড়িত তিনজনের একজন বলেন, প্রেসিডেন্টের জন্য ওই ব্যাগ বহন করাও কষ্টকর ছিলো।
বুধবার ইয়ামিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, তার সাবেক সহযোগির প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত এসওএফ প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ লাখ মার্কিন ডলার গ্রহণ করেছেন ইয়ামিন। ২০১৫ সালের অক্টোবরে মালদ্বীপ ইসলামিক ব্যাংক-এ ইয়ামিনের অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করা হয়। তবে ইয়ামিন দাবি করে আসছেন নির্বাচনি প্রচারণার তহবিল হিসাবে এই অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছিল।
গত মাসে মালদ্বীপের দুর্নীতি দমন কমিশন (এসিসি) জানায় রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান এমএমপিআরসি থেকে দুর্নীতির অর্থ ১৫৫ ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। তবে তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
বুধবারের দায়ের করা অভিযোগ ছাড়াও আরও একটি অর্থ পাচার মামলায় তদন্তের মুখে আছেন ইয়ামিন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার নগদ গ্রহণের অভিযোগে ওই তদন্ত চলছে।
Posted ১:০০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta