বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

মালদ্বীপে চীন-পাকিস্তানের আবির্ভাব : উদ্বিগ্ন ভারত

বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৮
388 ভিউ
মালদ্বীপে চীন-পাকিস্তানের আবির্ভাব : উদ্বিগ্ন ভারত

কক্সবাংলা ডটকম(১৮ এপ্রিল) :: ভারতীয় চলচ্চিত্র, ভারতীয় ফ্যাশন, ভারতীয় খাবার- সবকিছুতেই দীর্ঘ দিন মজে ছিল মালদ্বীপের লোকজন। মালের সবচেয়ে কাছের ভারতীয় শহর থিরুবনাথাপুরামে ধিভেহি ভাষায় সাইনবোর্ড শোভা পায়, সেখানকার অধিবাসীরা মালদ্বীপের ভাষায় অনর্গল কথা বলে। আর প্রতি বছর লাখ লাখ মালদ্বীপের লোক ভারত সফর করে। সাংস্কৃতিক মিল থাকা দেশটিতে তারা চিকিৎসার জন্যও যেত।

রাজনীতিতে দীর্ঘ দিন ছোট্ট দ্বীপ দেশ মালদ্বীপকে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিয়ে আসছে ভারত। তামিল ভাড়াটে হামলাকারীদের থেকে মামুন আবদুল গাইয়ুম সরকারকে রক্ষার জন্য ১৯৮৯ সালে সৈন্য পাঠিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। আরো সম্প্রতি মালের লবণাক্তমুক্তকরণ প্লান্টটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভারত খাবার পানি দিয়ে নৌবাহিনীর জাহাজ আর বিমান পাঠিয়েছিল।

কিন্তু মালদ্বীপ-ভারত এই মাখামাখি এখন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে, অন্তত রাজনৈতিক ফ্রন্টে। চীনকে গ্রহণ করার জন্য ভারতকে প্রত্যাখ্যান করে চলেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন।

ভারতবিরোধী অবস্থান গ্রহণ শুরু হয়েছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওয়াহিদের সময়। তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতের জিএমআরকে বের করে দিয়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়নের ৫১১ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিটি বাতিল করে দিয়েছিলেন।

তিনি মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য ভারতকে অভিযুক্তও করেছিলেন। তার এ বিষোদগার নিয়ে আরো বেশি বিস্ময় সৃষ্টির কারণ ছিল ব্যাপক বিতর্কিত ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে গঠিত তার সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে গ্রহণযোগ্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন মনমোহন সিং।

টানাপোড়েন

কয়েক দশক ধরে চলা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে প্রথম টানাপোড়নের সৃষ্টি করে জিএমআর জটিলতা। মোহাম্মদ নাশিদের প্রেসিডেন্সির শেষ পর্যায়ে জিএমআরবিরোধী ও ভারতবিরোধী অবস্থানের সৃষ্টি হয়।

নাশিদের বিতর্কিত বিদায়ের পর ওয়াহিদ প্রেসিডেন্ট হলে জিএমআরকে বিদায় করা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু সেখানে না থেমে সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটতে থাকে। ইয়ামিন ক্ষমতায় আসার পর অবস্থার আরো অবনতি ঘটে।

এর কারণ কী? এককথায় চীন। ভারত মহাসাগরে চীনকে পেশীশক্তি প্রদর্শন করার সুযোগ দিয়েছেন ইয়ামিন। আর তা ভারতকে প্রবলভাবে উদ্বিগ্ন করেছে।

মালদ্বীপে যাতে বিদেশীরা জমি কিনতে পারে (অন্তত ১০০ কোটি ডলারে) সেজন্য ইয়ামিন সরকার ২০১৫ সালে সংবিধান সংশোধন করেছেন। চীনা ও সৌদিরা যাতে জমি কিনতে পারে, সে সুযোগ দিতেই এ উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বছর বেশ তাড়াহুড়া করে চীনের সাথে বিতর্কিত অবাধ বাণিজ্য চুক্তি করে মালদ্বীপ। ভারতের কষ্ট আরো বাড়িয়ে চীনা একটি কোম্পানির সাথে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো চুক্তিটি করেন ইয়ামিন। ওই চুক্তির মধ্যে রয়েছে ‘ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ’, ৭,০০০ হাউজিং ইউনিট নির্মাণ, একটি হাসপাতাল নির্মাণ, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও লামু লিঙ্ক রোড নির্মাণ।

চীনা বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু স্মলের মতে, এসব ঘটনা ভারতকে উদ্বিগ্ন করছে।

লাল রেখা

সর্বশেষ উত্তেজনা বাড়ে ভারতের উপহার দেওয়া দুটি হেলিকপ্টার মালদ্বীপের ফেরত প্রদানের ঘটনায়। গুরুতর অসুস্থ রোগী পরিবহন ও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে মালদ্বীপ সামরিক বাহিনী হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহার করত। হেলিকপ্টার দুটি ফেরত নয়া দিল্লির মুখে চড় মারা বলে বিবেচিত হচ্ছে।

ভারতকে আরো বেশি আতঙ্কে ফেলে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মালদ্বীপ সফর এবং এই ঘোষণা যে, মালদ্বীপের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে মালদ্বীপের উপকূলরক্ষীদের পাশাপাশি পাকিস্তানি রণতরীগুলো টহল দিতে পারে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের সাথে যৌথ টহল নয়া দিল্লির জন্য লাল রেখা।

স্মল বলেন, চীনকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান হলো সুস্পষ্ট শত্রু। মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি সামরিক সহযোগিতাকে ভারত ভালোভাবে নেবে না।

তিনি বলেন, মালদ্বীপে চীনাদের হয়ে পাকিস্তানের আবির্ভাব নয়া দিল্লিকে উদ্বেগে ফেলবে।

তিনি বলেন, ভারত বোঝে যে চীনের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের জের ধরে নিরাপত্তা সহযোগিতাও হবে। তাছাড়া চীনের ভারত মহাসাগরীয় বৃহত্তর লক্ষ্যও আছে। কিন্তু পাকিস্তানকে ওই নিরাপত্তা বলয়ে টেনে আনা হলে ভারতের জন্য তা ভিন্ন ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি করবে।

মালদ্বীপের জনগণ কি ভারতীয় ডাল বাদ দিয়ে চীনাদের গ্রহণ করবে? অবশ্য সরকার মেন্যু পরিবর্তনে খুব আগ্রহী হলেও জনগণের মধ্যে সম্ভবত অভ্যাস বদলানোর খুব বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

388 ভিউ

Posted ৯:৪০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com