কক্সবাংলা ডটকম(১৫ জুলাই) :: জাতিসংঘ শিগগিরই শিশু অধিকার লঙ্ঘনকারীদের নিয়ে কালো তালিকা তৈরি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে যাচ্ছে, যেখানে ইয়েমেনে সৌদি-নেতৃত্বাধীন জোটের কড়া সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকা হতে পারে বলে কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, যদিও গত বছর ইয়েমেনে বাসে বোমা হামলায় কয়েক ডজন শিশু নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটেরাস শিশু ও সশস্ত্র সঙ্ঘাত বিষয়ে আগামী ২ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের আগ দিয়ে চলতি মাসের শেষের দিকে একটি বার্ষিক লজ্জা তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছেন।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে ২০১৬ সালে জাতিসংঘের কালো তালিকায় রাখা হলেও সৌদি আরবের তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর সেটা সরিয়ে নেয়া হয়। সৌদি আরব জাতিসংঘের কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধের হুমকি দিয়েছিল।
রিয়াদকে শান্ত রাখতে জাতিসংঘ ২০১৭ সালে তালিকাকে দুটো ভাগে ভাগ করে এবং সৌদি কোয়ালিশানকে ‘সেকশান বি’তে স্থান দেয়। এই সেকশানে ইয়েমেনে শিশুদের মৃত্যু এড়ানোর জন্য সৌদি আরবের চেষ্টা ও তৎপরতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, শিশু ও সশস্ত্র সঙ্ঘাত বিষয়ক জাতিসংঘের দুত ভার্জিনিয়া গামবা আরও সুপারিশ করেছেন যাতে মিয়ানমার, সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদানের সশস্ত্র বাহিনীগুলোকেও সাব-সেকশানে স্থানান্তরিত করা হয় যেখানে শিশুদের রক্ষায় তাদের তৎপরতার বিষয়টি উল্লেখ করা হবে।
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের মধ্য দিয়ে মূলত মিয়ানমারের অভিযুক্ত জেনারেলদের বিচারে এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে নৃশংস ওই সব অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বা আদালতে হাজির হওয়ার মতো সুপারিশ করবে আইসিসির কৌঁসুলির দফতর।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের জন্য বাংলাদেশে দাফতরিক কাজ শুরু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি।
ওই সুপারিশের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারকরা প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারবেন।
গণহত্যা আর মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে রোহিঙ্গাদের যেভাবে রাখাইন থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ খুঁজে পেয়েছে আইসিসির তথ্যানুসন্ধানকারী দল।
এ নিয়ে তদন্ত শুরু করতে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অনুমতি চেয়েছেন আদালতের কৌঁসুলি ফেতু বেনসুদা। তদন্তসহ বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে মাঠপর্যায়ে আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করতে যাচ্ছে আইসিসি