কক্সবাংলা ডটকম(১০ এপ্রিল) :: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দক্ষিণ মাংডু টাউনশিপে মুসলিম উদ্বাস্তুদের বসতি পুনরায় স্থাপন না করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে রাজ্য পার্লামেন্ট। শুক্রবার (৬ এপ্রিল) প্রস্তাবটি পাস হয়েছে।
এর আগে বুথিদং টাউনশিপের আইনপ্রণেতা উ তুন আঙ থেইন পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। তিনি জাতীয় সার্বভৌমত্ব, বৌদ্ধ জাতিগত আরাকানিদের নিরাপত্তা ও আইনের শাসনের বিষয়গুলোও আমলে নিতে আহ্বান জানান।
গত আগস্টে সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর ভয়াবহ নৃশংসতা অভিযানর পর প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।
গত নভেম্বরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উদ্বাস্তুদের ২২ জানুয়ারি থেকে পুনর্বাসনে একমত হলেও প্রক্রিয়াটি এখনো শুরু হয়নি।
আইনপ্রণেতা উ তুন আঙ থেইনের প্রস্তাবটি শুক্রবার আলোচনার পর গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু আরাকানি লোকজন ও অন্যান্য উপজাতীয় প্রবল ভয়ে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পুরো এলাকাটি অ-মিয়ানমার নাগরিকদের হাতে পড়েছিল।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অ-নাগরিকদের দক্ষিণ মাংডুতে আবার বসতি স্থাপন করতে দিলে ভবিষ্যতে সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। স্থানীয়রাও বাঙালিদের দক্ষিণ মাংডুতে পুনঃবসতি স্থাপনে রাজি নয়। আমাদেরকে অবশ্যই তাদের কথা শুনতে হবে।
মিয়ানমারের বেশির ভাগ লোক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে যাওয়া বাঙালি মনে করে। মিয়ানমারে কয়েক প্রজন্ম ধরে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দক্ষিণ মাংডুতে আটটি রোহিঙ্গা গ্রাম নির্মাণের সরকারের পরিকল্পনারও সমালোচনা করেন আইনপ্রণেতারা। তারা বলেন, অবৈধ অভিবাসী ও সন্ত্রাসীরা সহজেই সাগরপথে সেখানে পৌঁছাতে পারবে।
মেবন টাউনশিপের আইনপ্রণেতা উ আঙ উইন বলেন, দক্ষিণ মাংডুতে বাঙালি গ্রাম প্রতিষ্ঠা মানে অবৈধ অভিবাসী ও সন্ত্রাসীদের স্বাগত জানানোর কেন্দ্র বানানো। সরকারের উচিত হবে না এ ধরনের ভুল করা। কারণ তাতে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে।
রাজ্য পার্লামেন্টে সামরিক বাহিনী থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত মেজর আঙ জিন থানও দক্ষিণ মাংডুতে রোহিঙ্গা পল্লী নির্মাণের বিরুদ্ধে কথা বলেন।
রাখাইন রাজ্য পরিকল্পনা ও অর্থমন্ত্রী উ কিয়াও আয়ে থিন বলেন, আইনপ্রণেতাদের আলোচনায় তিনি আপত্তিকর কিছু দেখেন না। তবে তাদের বুঝতে হবে রোহিঙ্গা প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকার আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে।
Posted ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta