কক্সবাংলা ডটকম(১৬ ডিসেম্বর) :: বিজয়ের পতাকা হাতে চলি অবিরাম’ এই স্লোগান নিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় বিজয় উদযাপন উৎসব। গণভবন থেকে ভিডিও কলে সেখানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ত্যাগের মহিমায় আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এক মুহূর্তের জন্যও এটা ভোলা যাবে না আমরা বিজয়ী জাতি, বীরের জাতি। আমরা মাথা নত করে চলি না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারাই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা যুদ্ধ করেছিলেন, তাই তাদেরকে লাখো সালাম জানাই। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণও দিয়েছেন এখানেই। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান।’
বাংলাদেশকে ডিজিটাল করবো বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেভাবেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। অনুষ্ঠানে নিজের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দীর ইতিহাস তুলে ধরেন। উপস্থিত সবাইকে জানান সেখানে হওয়া নানান ইতিহাসের বিশেষ ঘটনাগুলো।
অতীতের কথা টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন বলেন, এই সোহরাওয়ার্দীতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এখানে দেওয়া তার ডাকে একত্রিত হয় সারাদেশের মানুষ। ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধে। বিজয় ছিনিয়ে আনে দেশের। এখানে দাঁড়িয়েই ১০ জানুয়ারি তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন কিভাবে বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। এখানে দেওয়া তার সেই ৭ই মার্চের ভাষণ এখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ। সেটা আজ স্বীকৃত।
বিজয়ের দিনের কথা টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর যখন সারাদেশ স্বাধীন হলো তখন আমরা স্বাধীন হতে পারিনি। ১৮ নম্বর রোডের বাসায় তখন বন্দী আমরা কয়েকজন মানুষ। ১৬ ডিসেম্বর আমরা মুক্তি পাইনি, মুক্তি পেলাম ১৭ ডিসেম্বর। ঘরে বন্দী থেকেই আমরা শুনছি জয় বাংলা স্লোগান। আর ঘরে বন্দী থেকেই সেদিন সবার সঙ্গে আমরা গলা মিলিয়ে বলেছিলাম জয়বাংলা।
বক্তৃতায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। আর ঘৃণা প্রকাশ করেন তাদের জন্য যারা আমাদের মা বোনদের তুলে দিয়েছিলো রাজাকারদের হাতে। বলেন, ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের পর ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় আজ যুব সমাজ আবার উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। ত্যাগের মহিমায় নিজেদের গড়ে তুলতে হবে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে। যুগ যুগ ধরে বাংলার মানুষ যেন এই আনন্দউৎসব করে যেতে পারে সেটাই আমার কামনা।
Posted ১১:২৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta