কক্সবাংলা ডটকম(২০ অক্টোবর) :: আর মাত্র কয়েকটা বছর। তারপরই বিশ্ব জুড়ে জাল বিস্তার করবে চিন। বছর তিনেক আগেই সেই পরিকল্পনা নেয় বেজিং। আর তাতেই রীতিমত ভয় পেয়ে গেল খোদ ওয়াশিংটন। চিনের সেই পরিকল্পনার নাম “মেড ইন চায়না:২০২৫”। সেই মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে রীতিমত চিন্তিত আমেরিকা।
বর্তমানে চিনে তৈরি জিনিস সস্তায় মিললেও তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আর সেটা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে চায় বেজিং। “মেড ইন চায়না:২০২৫” নামে এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। চিনের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এই ম্যানুফাকচারিং। আর তাকেই এবার কাজে লাগাবে চিন। পরিকল্পনাটি তিন ধাপের। ২০২৫ সাল সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ মাত্র।
চিন এতদিন যেভাবে পণ্য তৈরি করে এসেছে, সেখানে একটা আমূল বিপ্লব ঘটাতে চাইছে। পরিকল্পনাটি তিন ধাপের। ২০২৫ সাল সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ মাত্র। ২০২৫ সাল নাগাদ চিন যত পণ্য তৈরি করবে, তার সবকিছুর মান তারা বাড়াতে চায়।
এমন কিছু চিনা ব্র্যান্ড তারা তৈরি করতে চায়, যেগুলো কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়বে গোটা বিশ্ব। পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে ২০৩৫ সাল নাগাদ চিনা সংস্থাগুলো বিশ্বের বাকি সব কোম্পানিকে প্রযুক্তিতে, পণ্য মানে এবং সুনামে ছাড়িয়ে যেতে চায়।
আর ২০৪৯ সালে, আধুনিক চিন যখন তার প্রতিষ্ঠার একশো বছর উদযাপন করবে, তখন তারা ম্যানুফ্যাকচারিং এ বিশ্বের এক নম্বর শক্তি হয়ে উঠতে চায়। এজন্যে চীন দশটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও চিহ্ণিত করেছে।
এর মধ্যে থাকছে সেমিকন্ডাকটার চিপ, বিমান, রোবোটিক্স, ইলেকট্রিক কার, হাইস্পিড রেল এবং ওশান ইঞ্জিনিয়ারিং। এই পরিকল্পনা সফল করতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও সাহায্য করছে চিনের সরকার। আর তাতেই চিন্তায় পড়েছে আমেরিকা।
Posted ৮:৫৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta