কক্সবাংলা ডটকম(৫ নভেম্বর) :: ভারতের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত তার প্রথম গোপন পরিভ্রমণ সম্পন্ন করল। স্থলপথে বা আকাশপথে পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপের ব্যবস্থা আগেই ছিল ভারতের। এবার সমুদ্রের গভীরেও শত্রুকে পরমাণু অস্ত্রে ঘায়েল করার সব বন্দোবস্ত করে ফেলল ভারত। আইএনএস অরিহন্তের হাত ধরে সম্পূর্ণ হল সেই বৃত্ত। সোমবার থেকে সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় হল ভারতীয় নৌসেনার এই নতুন সদস্য।
6,000 টন ওজনের পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত প্রায় তিন দশক ধরে ক্রমাগত বিভিন্ন দক্ষ কারিগরী পরীক্ষানিরীক্ষার ফল। ভারতের নিউক্লিয়ার কম্যান্ড অথরিটির বা পারমাণবিক কমিটির আওতায় রয়েছে এই সাবমেরিনটি। যে কমিটির প্রধান নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং।
এখন থেকে এই সাবমেরিনটিকে দেশের প্রতিরক্ষার খাতিরে জলের তলায় বহু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কার্যকলাপে অংশ নিতে হবে। “যারা আমাদের সামরিকক্ষেত্রে পদক্ষেপকে নেতিবাচক করে তোলার প্রয়াসে ব্রতী ছিল, আইএনএস অরিহন্তকে আমরা আসলে তাদের মুখের মতো একটি জবাব বলে মনে করছি”, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী অরিহন্তের সদস্যদের সাধুবাদ দেন। এই সাবমেরিন ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে সুরক্ষা দেবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”আজ ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। পরমাণু অস্ত্রের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল আজ। বিশ্বের শান্তিরক্ষায় ভারত এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।”
এর আগে এই বৃত্তের অংশ হিসেবে ছিল অগ্নি ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ফাইটার বম্বার। তবে জলের তলায় পরমাণু অস্ত্র চালনার জন্য সাবমেরিনের অভাব ছিল। এই সাবমেরিন সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ করল। আর এটাই সবথেকে বেশি গোপন হাতিয়ার হিসেবে গণ্য হবে। কারণ একে চিহ্নিত করা শত্রুপক্ষের জন্য বেশ কঠিন। আর ভারত মহাসাগরে যেভাবে চিনের আনাগোনা বাড়ছে, তাতে ভারতকে এই সাবমেরিক ব্যবহার করতেই হবে।
এই পারমাণবিক সাবমেরিনটি এতটাই শক্তিশালী যে, কোনও শহরকে ধ্বংস করার জন্য তা জলের গভীর থেকেই মিসাইল ছুঁড়তে পারবে। মিসাইল ছোঁড়ার পরেও এই সাবমেরিনটি ঠিক কোন স্থানে আছে, তা খুঁজে বের করতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে। এছাড়া, পারমাণবিক বোমার আঘাতেও এই অতি শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক সাবমেরিনটির কোনও ক্ষতি হবে না।
Posted ৬:০৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৫ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta