শহিদুল ইসলাম,উখিয়া(১৫ সেপ্টেম্বর) :: মানবতায় রোহিঙ্গা আস্ফালনে উখিয়া -টেকনাফ বাসী নরক যন্ত্রণায় পড়েছে। ভুগছে অর্বণনীয় দুর্ভোগ। পড়ছে খাদ্য সংকটে। চলাচলে নেই যথাযথ যানবাহন ব্যবস্থা। ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে যানবাহন সংকটে জরুরী কাজ সম্পাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে উত্তরণে।
তবে মিয়ানমার রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের এপারে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা বছর শেষে ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর শীর্ষ দুই কর্মকর্তা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির ও সার্বিক পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখে এসে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তবে এ সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই চলছে।
ফলে স্থানীয়দের দাবী ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গার সংখ্যা। জাতিসংঘের এ দুই কর্মকর্তার মতে, প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে বছর শেষে ১০ লাখ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে।
ইউএনএইচসিআর ও আইওএমের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফরে এসে গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারের কুতুপালং ও নোয়াপাড়া, উখিয়া, বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি-সহ পুরো এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা ও এলাকার সার্বিক চিত্র সরেজমিনে দেখেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাই কমিশনার (অপারেশন্স) জর্জ ওকোথ ওব্বো ও আইওএমের পরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আবদিকার মহামুদ ঢাকায় এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সংকট ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
তারা বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে ঢুকেছে। এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক কিছু করার রয়েছে এবং করতে হবে। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ মানবিক বিপর্যয় রোধে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের সাড়া আশাব্যঞ্জক নয়।
জরুরি মানবিক সহায়তা এবং স্বপ্লমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এই মানবিক বিপর্যয়ে আমাদের উদ্বেগ বাড়ছে।আইওএম কর্মকর্তা আবদিকার মহামুদ বলেন, যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা সামালে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় এখনও যথেষ্ট কিছু করছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও অনেক কিছু করতে হবে।
ইউএনএইচসিআর সহকারী হাই কমিশনার ওকোথ ওব্বো বলেন, আড়াই সপ্তাহের মধ্যে প্রায় চার লাখ মানুষ আসায় বাংলাদেশ গুরুতর মানবিক পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। নির্যাতনের মুখে দেশান্তরী হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রশংসা ও স্বীকৃতি দিতে হবে।
এটা অনেক বড় সংখ্যা এবং বাংলাদেশের নিজের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পরিস্থিতি বেশ জটিল, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি। এই পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন চাই উখিয়া -টেকনাফ তথা কক্সবাজার জেলা বাসী।
Posted ১০:২৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta