মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার ১ অক্টোবরে শুরু হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ৩.৩৭ ট্রিলিয়ন কিয়াতের (২.২২ বিলিয়ন ডলার) বেশি বরাদ্দ করার অনুরোধ করেছে।
এই পরিমাণ আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০০ বিলিয়ন কিয়াতের চেয়ে বেশি।
উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী মেজর জেনারেল মিয়ন্ত নউই সোমবার পার্লামেন্টে বলেন, গতবছরের ৩.২৪ ট্রিলিয়ন কিয়াতের চেয়ে এবারের বাজেটে ১২২.৪১ বিলিয়ন কিয়াত বেশি বরাদ্দ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
মেজর জেনারেল নউই মনে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী তিনটি জাতীয় স্বার্থ তথা ইউনিয়নের বিচ্ছিন্নতারোধ, জাতীয় সংহতি নাশ প্রতিরোধ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার জন্য আরো শক্তিশালী, আরো যোগ্য, আরো আধুনিক, দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনী গড়ার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তাবয়ন করছে।
তিনি বলেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ওই বাজেট প্রয়োজন।
মেজর জেনারেল নউই বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেতনভাতা বাবদ ১.৪৩ ট্রিলিয়ন কিয়াত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজেটের মধ্যে রয়েছে বেতন, সামরিক ব্যক্তিত্বদের পরিবারের দায় পরিশোধ, পরিবহন, প্রকৌশল, নিরাপত্তা ব্যয়, অস্ত্র, কারখানা, ভবন নির্মাণ, জরুরি তহবিল, সুদ ও অন্যান্য ব্যয়। তিনি অবশ্য খাতওয়ারি বরাদ্দ তুলে ধরেননি। বিশেষ করে সামরিক বাহিনী কি ধরনের অস্ত্র কিনতে চাচ্ছে, তা তুলে ধরা হয়নি।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০১২-১৩ সময়কাল থেকে প্রতি বছর জাতীয় বাজেটের ১৩ থেকে ১৫ ভাগ পেয়ে থাকে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা বাজেট বরাদ্দ ছিল মোট সরকারি বাজেটের ১৩ ভাগের বেশি। আগের বছর তা ছিল ১৩.৯ ভাগ। ২০১৬-১৭ সময়কালে ছিল ১৪.৩ ভাগ, ২০১৫-১৬ সময়কালে ছিল ১৩.৬ ভাগ, ২০১৪-১৫ সময়কালে ১২.৭ ভাগ, ২০১৩-১৪ সময়কালে ১৩.৩ ভাগ, ২০১২-১৩ সমকালে ১৪ ভাগ।
কেন্দ্রীয় খসড়া বাজেট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বিভাগ ও সংস্থাগুলো ২৫.৩১ ট্রিলিয়ন কিয়াত আয় করবে, আর মোট ব্যয় করবে ৩২.৩৪ ট্রিলিয়ন কিয়াত। এর মানে হচ্ছে বাজেট ঘাটতি হচ্ছে ৭.০৩ ট্রিলিয়ন কিয়াত।
প্রস্তাবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিবহন, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ খাতগুলোও গুরুত্ব পেয়েছে।