কক্সবাংলা ডটকম(৯ অক্টোবর) :: শত্রুপক্ষের রাডার ধ্বংস করতে পারে। কোথা থেকে রেডিও রশ্মি ক্ষরিত হচ্ছে, সেই উত্স খুঁজে বের করতে পারে। তার পর বিপক্ষের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এড়িয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে। সম্পূর্ণ দেশী প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপনাস্ত্র ‘রুদ্রম-১’-এর সফল পরীক্ষা করল ভারত।
ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন (ডিআরডিও)। ওড়িশার চাঁদিপুরে সুখোই-৩০ বিমান থেকে উত্ক্ষেপণ করা হয়েছে এই ক্ষেপনাস্ত্র। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। সেকথা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে ডিআরডিও।
টুইটারে ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। লিখেছেন, ‘ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ডিআরডিও-র তৈরি নতুন প্রজন্মের প্রথম রাডার ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়েছে বালেশ্বরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে। এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ডিআরডিও এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
জানা গেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের (এনজিএআরএম) সাহায্যে গভীর সমুদ্রেও অভিযান চালাতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। এক আধিকারিক জানালেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র ভূপৃষ্ঠ বা সমুদ্রতলের ৫০০ মিটার থেকে ১৫ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যাবে। ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে বিকিরণের উত্সগুলি খুঁজে নিয়ে রাডার ধ্বংস করতে সক্ষম রুদ্রম।’
ডিআরডিও জানিয়েছে, অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল সিস্টেমের প্রযুক্তিতে সরকারি সংস্থা ছাড়াও একাধিক বেসরকারি সংস্থারও অবদান আছে। রুদ্রম-১ মিসাইলের পাল্লা ১০০-১৫০ কিলোমিটার। সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যাবে এই মিসাইল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজনে এই মিসাইলের পাল্লা বাড়ানো যাবে। সুখোই ছাড়াও মিরাজ-২০০০, জাগুয়ার, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (হ্যাল) তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান থেকেও এই মিসাইল ছোড়ার প্রযুক্তি তৈরি হয়েছে।
Posted ৫:২০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta