প্রেস বিজ্ঞপ্তি(১২ ডিসেম্বর) :: কক্সবাজারের রামুতে রাতের আঁধারে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নির্মানাধিন পাকা স্থাপনা ভাংচুর করেছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ভূমিগ্রাসি চক্রের হোতা রাজাকার মোজাফ্ফর আহমদ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়ায় এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় জমির মালিক ব্যোমকেশ বড়–য়া বাদি হয়ে রামু থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
লিখিত এজাহারে চিহ্নিত ভূমিদস্যু রাজাকার মোজাফ্ফর আহমদ ও তার সহযোগিসহ ১০ জন এবং অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন শ্রমিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
জমির মালিক রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মধ্যম মেরংলোয়া গ্রামের মৃত নির্মল বড়–য়ার ছেলে ব্যোমকেশ বড়–য়া জানিয়েছেন, তার মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি তিনি এবং অন্যান্য ওয়ারিশগণ দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি এ জমিতে বসত বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে চারপাশে পাকা দেয়াল নির্মাণসহ স্থাপনা তৈরীর কাজ শুরু করেন।
নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে ওই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু তালিকাভূক্ত রাজাকার মোজাফ্ফর আহমদ ও তার সহযোগিরা তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ করা, স্থাপনা ভাংচুর এবং তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়।
এরই জের ধরে গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও রাজাকার মোজাফ্ফর আহমদ প্রকাশ ও তার ছেলেদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র এবং লোহার হ্যামার, কুড়াল, মাত্তুল, গেজা, দা সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ব্যোমকেশ বড়–য়ার জমিতে মহড়া দিতে শুরু করে।
রাত ২টার দিকে সন্ত্রাসী চক্রটি ব্যোমকেশ বড়–য়ার নির্মাণাধিন পাকা স্থাপনা ভাংচুর করে। এসময় পুরো এলাকাজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। জমির মালিক ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সন্ত্রাসীদের হুমকীর কারনে কেউ বাঁধা দেয়ার সাহস পায়নি। দীর্ঘক্ষণ ভাংচুর চালিয়ে সন্ত্রাসীরা জমির চারপাশের পাকা দেয়াল গুড়িয়ে দেয়। এতে তার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া ইটভাটায় কর্মরত ৫০/৬০ শ্রমিক এ ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত ছিলো। ঘটনার পর রাত সাড়ে তিনটায় রামু থানার এসআই সাইদুর ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।
জমির মালিক ব্যোমকেশ বড়–য়া আরো জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ও রাজাকার মোজাফ্ফর আহমদ ও তার ছেলেরা চাঁদার দাবিতে পরিকল্পতিভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতিপূর্বে এ চক্রটি এলাকায় অসহায় মানুষের জমি জবর-দখলসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে বিত্তশালী হয়েছেন।
এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় লিখিত এজাহার পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ১:০১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta